নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ব্যালট বাক্স ছিনতাই আর দেখতে চাই না। আমি চাই একটা গ্রহন যোগ্য নির্বাচন। এ জন্য তিনি সকল ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ নির্বাচন গ্রহনের সহায়তা চেয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সহায়তা পেলে একটা সুন্দর অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব । আমতলী উপজেলায় ৫ম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের দিন ব্যাপী প্রশিক্ষনের উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আইনের ব্যতয় ঘটিয়ে কেউ কোন অন্যায় কাজ করতে চাইলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারন করেন। বলেন, অন্যায়ের সাথে যদি কোন প্রশাসন, পুলিশ, নির্বাচন কর্মকর্তা জড়িত থাকে তাদেরও শাস্তি পেতে হবে। তিনি বলেন, এর আগের কয়েকটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সে নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হয়েছে।
যারা অতি উৎসাহী হয়ে সে নির্বাচনে অনিয়ম করেছে তারা এখন জেলে। বাঘাই ছড়িতে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে তিনি বলেন, আমরা তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে সাড়ে ৫ লাখ করে টাকা দিয়েছি। আর যারা আহত হয়েছে তাদের সকল চিকিৎসার ব্যায় ভার বহন করছি। এবং তাদের উন্নত চিকিৎসারও ব্যবস্থা করেছি। এবং যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে সকল খুনিদের আমরা ছাড় দেব না। তিনি নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এলাকার কোন এমপি, কোন রাজনৈতিক নেতা যদি আপনাদের চাপ দেয় তাহলে আপনারা প্রশাসনকে জানাবেন, আমাদেরকে জানাবেন আমরা ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরো বলেন, কোন কেন্দ্রে যদি বিশেষ কেউ চাপ দেয় তাহলে কেন্দ্র বন্ধ করে চলে আসবেন। তিনি আরো বলেন, ভোটার যেন ভোট কেন্দ্রে উপস্থি হয়ে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। তাকে যেন ভোট না দিয়ে ফিরে আসতে না হয়। ভোটারদের যেন ভোট দিতে বাধ্য করা না হয় সে দিকে আপনারা খেয়াল রাখবেন। তিনি বরগুনার পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সংখ্যা লঘুদের উপর নির্যাতন এবং নির্বাচনের পরে যাতে কোন সহিংসতার ঘটনা না ঘটে সে দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। কারন এই অঞ্চল একটু দাঙ্গা প্রবন। এজন্যই আমরা শেষের দিকে এই অঞ্চলের নির্বাচন রেখেছি যাতে ভেবে চিন্তে ব্যবস্থা নিতে পারি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় আমতলী সরকারী একে হাইস্কুলের হল রুমে দিন ব্যাপী ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষনে জেলা নির্বাচন অফিসার দিলিপ কুমার হাওলাদারের সঞ্চালনায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. কবীর মাহমুদ. বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারফ হোসেন পিপিএম, আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সরোয়ার হোসেন ও আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দিন মিলন।
সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব আলম (সার্বিক), বরগুনার সহকারী পুলিশ সুপার মো. নজমুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনারের একান্ত সচিব, মো. মতিয়ার রহমান, বরিশালের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন, আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার কমলেশ চন্দ্র মজুমদার নির্বাচন অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।