পৃথিবীর ৭০ ভাগ পানি আর মাত্র ৩০ ভাগ স্থলভাগ। তবে, পানির এই বিশাল বিস্তৃতি থাকলেও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সঙ্গে বাড়ছে সুপেয় পানির সংকট। পুরুষের শরীরে ওজনের শতকরা ৬০ ভাগ আর নারীর শরীরের শতকারা ৫৫ ভাগ পানি। আমাদের মানবদেহের মোট পানির যদি ১০ শতাংশ কমে যায় তবে তা শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। নগরায়নের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে চলছে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার। সেই সঙ্গে বেড়ে চলছে পানি দূষণের পরিমাণও। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডিও জেনেরিতে জাতিসংঘ পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলনের (ইউএনসিইডি) এজেন্ডা ২১-এ প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালনের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরের বছর থেকে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয়। এর পর থেকে দিন দিন এই দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় ৯ কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে পারছে না।
জাতিসংঘের এক জরিপে দেখা যায়, তৃতীয় বিশ্বের ৫৮ শতাংশ মানুষ বিশুদ্ধ পানি পানের সুযোগ পান না। সুপেয় পানির অভাবে নানা ধরনের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের মানুষ। এক্ষেত্রে নারী এবং শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বিভিন্ন পেটের অসুখের অন্যতম কারণ সুপেয় পানির অভাব। পেটের অসুখের কারণে স্কুলে বাচ্চাদের উপস্থিতির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এই কারণে প্রতিবছর বিশুদ্ধ পানি সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠুভাবে সরবরাহ নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এই দিবসটি পালন করা হয়।