মির্জাগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিকীর সমর্থকদের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীরা রাম দা ও শাবল দিয়ে রফিকুল ইসলাম (৩৮) নামে এক প্রচারকর্মীকে কুপিয়ে আহত করেছে। গত বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ভাটামারা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত রফিকুল ইসলাম ভাটামার এলাকার মো. মাসুম আলমের ছেলে। রফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই দিন পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে নৌকার সমর্থক কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম নিলু ৫/৬ জনের দল নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। এ সময় রাম দা, শাবল দিয়ে আমার মাথা ও পেটে প্রাণ নাশের উদ্দেশ্যে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অন্যদিকে একই রাতে খান মো. আবু বকর সিদ্দিকীর সমর্থক উপজেলার সাবেক যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল হোসেনের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা আসবাবপত্রসহ আবু বকর সিদ্দিকীর প্রচারণা পোস্টার জ্বালিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে সোহেল হোসেন বলেন, রাত ৩টার দিকে দরজায় নক করে বলে, ভাই আমার কিছু পোস্টার লাগবে। দরজা খোলতেই দেখি মুখোশধারী ৭/৮ জনের একটি দল। আমি নিরাপদ জায়গায় অবস্থান করলে আমাকে খুঁজে না পেয়ে ঘরে আসবাবপত্রসহ পোস্টার জ্বালিয়ে দেয়। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী জানান, আগমী ৩১শে মার্চ নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে কাপপিরিচ নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। প্রচারণার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা নানাভাবে প্রচারণায় বাধা দেয় এবং আমার সমর্থকদের নির্বাচনী ক্যাম্পে না যাওয়ার হুমকি দেয়। মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।