× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লরির চাপায় প্রাণ গেল মাদরাসা শিক্ষকের

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
২২ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার

রাজধানীর মিরপুরের কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আবদুর রাজ্জাক নামের একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোর সোয়া ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই আবদুর রাজ্জাক মারা যান। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। জানা যায়, নিহত আবদুর রাজ্জাকের বাড়ি মেহেরপুরের সদর উপজেলায়। তার বয়স ৪৫ বছর। তিনি স্থানীয় ভাইপুর দাখিল মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। তার দুই মেয়ে।
দু’জনেরই বিয়ে দিয়েছেন। আবদুর রাজ্জাক মঙ্গলবার মাদরাসার কাজে মেহেরপুর থেকে ঢাকায় আসেন। কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে নেমেই এই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। গতকাল বিকালে সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেলের মর্গ থেকে লাশ নিয়ে যান নিহত আবদুর রাজ্জাকের ভাতিজা বিপ্লব। তিনি মানবজমিনকে বলেন, আমরা গতকাল সকাল ১০টায় কাকা মারা যাওয়ার খবর পাই। মিরপুর থানা থেকে আমাদের এই ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়। পরে আমরা থানায় এসে যোগাযোগ করি। এ ঘটনায় কোনো মামলা করেছেন কিনা এমন প্রশ্নে বিপ্লব বলেন, কোন গাড়ি চাপা দিয়েছে এই বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। আর কেউই এই বিষয়ে বলতে পারছে না। এমনকি পুলিশও না। কার বিরুদ্ধে মামলা করবো। চাচা যেহেতু মারা গেছে তাই আর কোনো মামলা করি নাই। আমরা সবার কাছে চাচার জন্য দোয়া চাই।
মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম  জানান, গতকাল ভোরে আমার ডিউটি ছিল কল্যাণপুর এলাকায়। ভোর সাড়ে চারটার দিকে আমি হঠাৎ একটা আওয়াজ পাই। কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ডের দিকে গিয়ে দেখি রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় এক লোক পড়ে আছে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। আমি যতটুকু জানতে পেরেছি লোকটি মিরপুর কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তা পার হচ্ছিলেন। একটি তেলের লরি তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে লাশ শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের পর গতকাল বিকালের দিকে নিহতের আত্মীয়ের কাছে লাশ হস্তান্তর করি।
গাড়িটি শনাক্ত করা গেছে কিনা জানতে চাইলে এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর দ্রুতই গাড়িটি চলে যায়। রাতের বেলা হওয়ায় সেখানকার কেউই গাড়িটি দেখতে পায়নি। এখন পর্যন্ত আমরা গাড়িটি শনাক্ত করতে পারিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর