বিরাটনগরে সর্বত্র রঙের ছোয়া। হলির আন্দতে মেয়েছে শহরটি। তবে এই আনন্দের মোটেও ছোঁয়া লাগেনি বাংলাদেশের মেয়েদের মনে। ভারতের সঙ্গে ৪-০ গোলে হারের পর বিভীষিকাময় এক রাত কাটিয়েছে মেয়েরা। তাদের চোখ মুখ দেখে সেটা বোঝা যাচ্ছিল স্পষ্ট। সকালে টিম হোটেল জেনিয়েলে নাস্তা সেরেই টিম বাসে উঠে পড়েছে বাংলাদেশ দল। উদ্দেশ্য কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দর হয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ।
এই ভারতকে রুখে দিয়ে গত সাফে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে সেমিফাইনালে নেপালকে এড়িয়ে মালদ্বীপকে পেয়েছিল সাবিনা-কৃষ্ণারা। সেই সেমিফাইনালে স্বপ্নার হ্যাটট্রিকে ছয় গোলে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এবার গ্রুপ পর্বে নেপালের কাছে বড় হারে সেমিফাইনালে আর ভারতকে এড়াতে পারেনি ছোটনের শিষ্যরা। এতে ফাইনালও খেলা হয়নি। যদিও তারুণ্যদীপ্ত ভারতকে হারানোর সুযোগ ছিল সাবিনাদের। ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিট থেকে অন্তত তাই বোঝা গেছে। কিন্তু অভিজ্ঞতার ঘাটতিতে আর ছোট ছোট ভুলে সেটা সম্ভব হয়নি। টিম হোটেলের ম্যাচের দিন সন্ধ্যায় সেটাই ব্যাখ্যা করলেন বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি। মেয়েদের নিয়েও দীর্ঘক্ষণ মিটিং করেছেন এরা দু’জন। সেখানে কাগজে কলমে ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তবুও যেন কোনো সান্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছিলেন না সাবিনা-কৃষ্ণারা। রাতে সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে বিকল্প সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠেছেন। এমনকি সাত সকালে টিম হোটেলেও গিয়ে তাদের কারো সঙ্গেই কথা বলা যায়নি। রাতেই অবসরের গুঞ্জন উঠে সাবিনার। তারও সত্যতা মেলাতে যোগাযোগ করা হয় এই স্ট্রাইকারের সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন উড়িয়ে সাবিনা বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি হয়নি। তবে তরুণ এই মেয়েদের ওপর আস্থা আছে। ওরা ঠিক একদিন পারবে। গতকাল সকাল ৭টায় কাঠমান্ডুর উদ্দেশে হোটেল ছাড়ে বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে দুপুর দেড়টায় বাংলাদেশ বিমানে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে ছোটনের শিষ্যরা। বাংলাদেশে পৌঁছে যায় দুপুর আড়াইটায়।