প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে কোচিং সেন্টার কোনোভাবেই জড়িত নয়, এমন দাবি করে পাবলিক পরীক্ষার সময় ফ্রিল্যান্সিং কোচিং সেন্টার খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে কোচিং সেন্টারগুলোর সংগঠন এসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশ (অ্যাসেব)। একই সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁসের শেকড় উপড়ে ফেলার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করেছেন তারা। এক্ষেত্রে সরকারকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অ্যাসেব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানান দেশের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালকেরা। পাবলিক পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার খোলা রাখার জন্য জোর দাবি জানিয়ে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে কোচিং সেন্টারগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, বিতরণ থেকে শুরু করে এ সংক্রান্ত কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে কোচিং সেন্টারগুলো কোনোভাবেই যুক্ত নয়। উল্টো পাবলিক পরীক্ষার সময় প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন অ্যাসেবের আহ্বায়ক ও ই হক কোচিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. ইমদাদুল হক।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়। কিন্তু সেই পাবলিক পরীক্ষাতেই প্রশ্ন ফাঁস সবচেয়ে বেশি হয়েছে। এর থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা পরিচালিত কোচিং সেন্টারগুলোর সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁস হওয়া বা না হওয়া সম্পর্কযুক্ত নয়। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ১৯০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের কেউই কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত নন। তাহলে কেন কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখা হচ্ছে? এছাড়াও সম্প্রতি হাইকোর্ট ২০১২ সালে কোচিং নীতিমালা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় দিয়ে বলেছেন, ফ্রিলান্সরা কোচিং করাতে কোনো বাধা নেই। সংগঠনটির মুখপাত্র ও উদ্ভাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হাসান সোহাগ বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি। বহুবার চিঠিও দিয়েছি। প্রত্যেক চিঠিতে একটাই দাবি, দেশের সব কোচিং সেন্টার একটি নীতিমালার অধীনে আনা হোক। সরকার নীতিমালা করলেই সেন্টারগুলো একটি প্ল্যাটফরমে আসতে বাধ্য। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক শামসেয়ারা খান ডলি, মাহবুব আরেফিন, আকমল হোসাইন, পলাশ সরকার প্রমুখ।