সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারানো স্কুলছাত্রীর ক্ষতিপূরণ, ঘাতক পিকআপ চালকের শাস্তি ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে যশোর প্রেস ক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন যশোর আঞ্চলিক শাখার সদস্যরা। গতকাল বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দীর্ঘ এই মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি রিজিয়াৎ পারভীন মুক্তা, যশোর প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি নূর ইসলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, নির্বাহী সভাপতি ফারুক হোসেন লিটু, সদর কমিটির সভাপতি স্বপন মিত্রসহ বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন চলাকালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বক্তৃতা করেন। বক্তারা নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বিএইচআরসি যে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে তা সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করেন। বক্তারা বলেন, দেশের সড়ক ব্যবস্থার বেহাল দশা। রাস্তায় মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। চালকদের বেপরোয়া গতির কারণে প্রতিদিন রাস্তায় নিরীহ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নিরাপদ নয়। ফলে ঘাতক বাসের চালক, হেলপার ও মালিকদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত না করতে পারলে এই অবস্থার উন্নতি হবে না।
বক্তারা অবিলম্বে যশোরের শার্শা বুরুজবাগান পাইলট বালকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী মেফতাহুল জান্নাত নিপার দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। একই সঙ্গে ঘাতক পিকআপের চালকের আটক ও শাস্তির দাবি জানান। উল্লেখ্য, গত ২০শে মার্চ সকালে স্কুলের সামনে পিকআপের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন স্কুলছাত্রী নিপা। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসকরা ক্ষতিগ্রস্ত ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলেন। এই ঘটনার পর পরই জেলা প্রশাসক আবদুল আওয়াল হাসপাতালে অসুস্থ শিশুটিকে দেখতে যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। পরে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ন্যাশনাল গভর্ণর সাইমুম রেজা পিয়াসসহ নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে শিশু নিপাকে দেখতে যান এবং তার চিকিৎসার জন্য দরিদ্র পরিবারটিকে অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করেন। একই সঙ্গে তার চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব বহনের পাশাপাশি তার শরীরে একটি কৃত্রিম পা সংযোজনের প্রয়োজনীয় সব খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি দেন।