গত শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে ঘটে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা। //শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী এক বন্দুকধারী মুসলিমদের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা নিয়ে চালায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। এ হামলার পরই প্রশ্নের মুখে পড়েছে নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইন। পৃথিবীর সব থেকে শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর একটি নিউজিল্যান্ডে এর আগে কখনই এ ধরনের বন্দুকধারীর হামলা ঘটেনি। তাই গত শুক্রবারের হামলার পর নড়েচড়ে বসেছে দেশটির নীতিনির্ধারকরা।
বিবিসি জানিয়েছে, ঘটনার পরই নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেন নিশ্চিত করেছিলেন যে তিনি এই অস্ত্র আইন পরিবর্তন করছেন। এক সপ্তাহ আগে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় ব্যবহার করা হয় সব ধরনের সেমি-অটোমেটিক রাইফেল। এ ধরনের অস্ত্র নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড সরকার।
আরডেন জানিয়েছেন, তিনি আশা করছেন আগামী ১১ই এপ্রিলের মধ্যে নতুন আইনটি কার্যকরী হবে। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা অস্ত্রের জন্য একটি বাই-ব্যাক স্কিম চালু করা হবে। সেটি করা হবে যাতে করে আইনটি চালুর আগে এ ধরনের অস্ত্র কেনার জন্য হিড়িক না পড়ে যায়। তিনি বলেন, এখন হামলার ঘটনার ছয় দিন পরে আমরা নিউজিল্যান্ডে সব ধরনের সামরিক কায়দার সেমি-অটোমেটিকের (এমএসএসএ) এবং অ্যাসল্ট রাইফেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করছি। এছাড়া যেসব অংশ-বিশেষ যুক্ত করে অস্ত্রকে এমএএসএ-তে রূপান্তর ঘটানো যায় আনুষঙ্গিক সে ধরনের অস্ত্রও নিষিদ্ধ হবে, সেই সঙ্গে সমস্ত উচ্চ-শক্তিসম্পন্ন ম্যাগাজিনও।
আরডেন আরো বলেন, কর্মকর্তারা ধারণা করছেন বাই-ব্যাক স্কিমের ব্যয় যেকোনো স্থানে ১০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের সমাজের মানুষের নিরাপত্তার জন্য আমরা এই মূল্য অবশ্যই পরিশোধ করবো। এ বিষয়ে দেশটির পুলিশ বিষয়ক মন্ত্রী স্টুয়ার্ট ন্যাশ বলেছেন, আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, নিউজিল্যান্ডে আগেয়াস্ত্রের মালিকানা বিশেষ এক ধরনের সুবিধা, এটা কোনো অধিকার নয়।