মানিকগঞ্জে নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে ইতালি প্রবাসীর পাঁচ বছরের ছেলে সুজয় দেবনাথের মরদেহ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে স্বজনদের অভিযোগ শিশু সুজয়কে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর তার লাশ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত শিশু সুজয়ের চাচা রঞ্জিত দেবনাথ, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে এসেছে। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভারাড়িয়া ইউনিয়নের কাকুরিয়া গ্রামের ইতালি প্রবাসী সঞ্জয় দেবনাথের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সুজয় দেবনাথ গত সোমবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়।
সুজয়ের মা বাসন্ত দেবনাথ বলেন, তার স্বামী পাঁচ বছর ধরে ইতালি থাকে। সে দুই মাস আগে দেশে এসে ২০দিন থেকে আবার ইতালি চলে গেছে। গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ছেলে সুজয়কে বাসায় রেখে সে পুকুরে গোসল করতে যায়। সেখান থেকে ফিরে এসে আর সুজয়কে বাড়িতে পায়নি।
গ্রামসহ আশেপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনদিন পর পুকুরে শিশু সুজয়ের মরদেহ পাওয়ার পর মা বাসন্তী দেবনাথ এবং গ্রামবাসী ওই শিশুকে হত্যা করে তার লাশ পুকুরে ফেলে দেয়ার অভিযোগ তুলে সুজয়ের বড় চাচা রঞ্জিত দেবনাথ এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা শোনার পর এলাকাবাসী অভিযুক্ত রঞ্জিত দেবনাথের বাড়ি ভাঙচুরসহ তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং শিশুর লাশ উদ্ধার করে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হানিফ সরকার বলেন, নিহত শিশুর মা বাসন্তী দেবনাথ এবং এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রঞ্জিত দেবনাথ, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এর আগে, ছেলেটিকে সুস্থ খুঁজে পেতে প্রশাসন ও মিডিয়ার সহযোগিতা কামনা করেছেন অপহৃত শিশুর মা বাসন্তী দেবনাথসহ পরিবারের সদস্যরা।