× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আর্জেন্টিনা সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী / দক্ষিণের দেশগুলোর জন্য মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম গঠনের প্রস্তাব

দেশ বিদেশ

কূটনৈতিক রিপোর্টার
২২ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার

জাতিসংঘের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক ২য় উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে (বাপা+৪০) অংশ নিয়ে দক্ষিণের দেশগুলোর জন্য মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম এবং ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ জ্ঞান ও উদ্ভাবনী কেন্দ্র’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ারস্‌-এ অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ প্রস্তাব দেন। নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ২০১৫ সালের মে মাসে ঢাকায় প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং দক্ষিণের উন্নয়নে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সাউথ-সাউথ এন্ড ট্রায়াঙ্গুলার কো-অপারেশনের উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই বাংলাদেশ এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেছিল। ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা’কে শক্তিশালী ও পুনরুজ্জ্বীবিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক ২য় উচ্চ পর্যায়ের এই সম্মেলন আহ্বান করে। ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ারস্‌ এ অনুষ্ঠিত ‘বুয়েনস আয়ারস্‌ প্লান অব অ্যাকশান (বাপা)’ গৃহীত হবার চল্লিশ বছর পূর্তির কথা মাথায় রেখেই সাধারণ পরিষদ এবারের এই সম্মেলন আর্জেন্টিনায় আয়োজন করে। বাপা+৪০ এর লক্ষ্য হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে কারিগরি সহযোগিতার বাস্তবায়নকে এগিয়ে নেয়া।
২০ মার্চ শুরু হওয়া সম্মেলনটি আজ (২২ মার্চ) শেষ হচ্ছে। ওই  সম্মেলনে বাংলাদেশ ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সম্মেলনটির উচ্চ পর্যায়ের প্লেনারিতে কিছু সময়ের জন্য সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কিছু প্রস্তাবণা তুলে ধরেন। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঢাকায় ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ জ্ঞান ও উদ্ভাবনী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা। ড. মোমেন বলেন, প্রস্তাবিত কেন্দ্র সর্বশেষ প্রযুক্তি হস্তান্তর বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে। দক্ষিণের নাগরিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা তাদের অর্জিত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সম্পদ ব্যবহার করে নিজ নিজ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন।
 সে লক্ষ্যে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার আওতায় একটি প্লাটফর্মও গঠন করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, এর আগে এটুআই ও জাতিসংঘের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী বিষয়ক একটি সাইড ইভেন্টে অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাছাড়া তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মারিয়া ফার্নান্দে এসপেনোসা গার্সেজ, জর্জিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড জালকালিয়ানি এবং গুয়েতেমালার পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার জাইরো ডি. এসট্রাডা বি. এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়  বৈঠক করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর