× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এমপিওভুক্তির দাবিতে রাস্তায় শিক্ষকরা

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২২ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছেন বেসরকারি নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রেস ক্লাবের সামনেই অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা এর আগে আন্দোলন   স্থগিত করেছিলাম। এবারও প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নেবেন।

শিক্ষকরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়ার কথা ছিল। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ছিল। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে যাত্রা শুরু করলে পুলিশের বাধায় কদম  ফোয়ারার সামনে থেমে যায় নন-এমপিও শিক্ষকদের পদযাত্রা।
পুলিশের বাধা  পেয়ে রাস্তার ওপর অবস্থান নেন হাজার হাজার শিক্ষক। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়া পর্যন্ত তারা প্রেস ক্লাবের সামনেই অবস্থান করবেন। তাদের আশা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারলেই তাদের দাবি আদায় হবে।

এর আগে, গত বুধবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারী অবস্থান করেন। অবস্থান কর্মসূচি থেকে তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রার ঘোষণা  দেন। এরই অংশ হিসেবে গতকাল সকাল থেকেই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষকরা। এ সময় শিক্ষকরা এমপিও চাই, দিতে হবে, এমপিও ছাড়া বাড়ি ফিরে যাবো না ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা ১১টার দিকে তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশি বাধায় আটকে যায়। এরপর তারা প্রেস ক্লাবের সামনেই বসে পড়েন। বেলা সাড়ে চারটা পর্যন্ত তাদেরকে রাস্তার ওপরই বসে থাকতে দেখা যায়। এতে হাইকোর্ট ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থিত কদম ফোয়ারার তিনদিকের রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় পুলিশ তাদেরকে রাজপথ ছেড়ে দিয়ে শুধু প্রেস ক্লাবের সামনেই থাকার অনুরোধ করেছেন। রাস্তার ওপরই বসে থাকবেন বলে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ  গোলাম মাহামুদুন্নবী ডলার ও  সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় জানিয়েছেন।

এদিকে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন যাবৎ নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানবিক আবেদন জানিয়ে আসছে। আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত বছর ৫ই জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব আমাদের দাবি  মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এমন আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের ওপর আস্থা রাখি। এরপর ১১ই জুলাই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করা হয়। বিকালে জাতীয়  প্রেস ক্লাবে অনশনরত অবস্থায় জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, রাশেদা কে  চৌধুরী, তারেক জিয়াউদ্দিন এসে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের দাবি অবশ্যই পূরণ করবেন। আপনারা অনশন ভেঙে বাড়ি ফিরে যান। আমরা সন্তুষ্ট চিত্তে বাড়ি ফিরে যাই। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনলাইনে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন গ্রহণ করেন। কিন্তু অজানা কারণে এখনো এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাই শিক্ষকদের বাঁচা-মরার এই যৌক্তিক ও মানবিক আবেদন পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীই আমাদের একমাত্র অবলম্বন। তাই প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের জন্য কর্মসূচি দিয়েছিলাম। তাও পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর