× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পরিস্থিতি দেখছে একাংশ, অন্যরা মানববন্ধনে

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২২ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার

বাসচাপায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভে নামা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল দুপুরে মানববন্ধন শেষে আগামী রোববার থেকে আবার সড়কে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। তারা জানান, মেয়রের সঙ্গে হওয়া সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন দেখতে সাতদিনই সড়কে অবস্থান নেবেন। তবে প্রথম দুইদিন আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ গতকাল কর্মসূচিতে অংশ নেননি। দৃশ্যত তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। মেয়রের আশ্বাস কতটুকু কার্যকর হয় দেখতে চাইছেন তারা।

গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রবেশ ফটকের পাশে ফুটপাথে মানববন্ধনে নামে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি), নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিকাল ৩টার দিকে তারা মানববন্ধন শেষে ফিরে যান। মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিইউপি শিক্ষার্থী ফাহমিন চৌধুরী বলেন, আমরা সম্পূর্ণ অহিংস উপায়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছি।
গতকাল (গত বুধবার) আমরা সড়ক অবরোধ করেছিলাম, আজ (গতকাল)  আমরা অবরোধে যাইনি। আমরা চাই না কোনো জনদুর্ভোগ তৈরি হোক। মেয়র সাহেব সাত দিন সময় চেয়েছেন, আমরা সময় দিয়েছি।

তবে আমরা রাস্তায় থাকবো। আমাদের মানববন্ধন আজ (গতকাল) বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলবে। শুক্র ও শনিবার আমাদের বন্ধ। রোববার থেকে আবারো আমরা সড়কে থাকবো। মানববন্ধনে অংশ নেয়া আরেক শিক্ষার্থী হুমায়রা খানম বলেন, আমরা শুধু সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর দাবিতে নেমেছি। কোনো সহিংসতায় জড়ানোর জন্য না। আমাদের প্রতিপক্ষ সরকার কিংবা প্রশাসন নয়। আমরা এই চলমান সিস্টেমের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছি। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক ভাইবোন, মা-বাবা নিহত হচ্ছেন। কারো মায়ের বুক খালি হোক আমরা আর  চাই না। যে সিস্টেমে সড়ক ব্যবস্থা চলছে সেটা চলতে থাকলে আরো ভয়াবহ হবে। আমরা মুক্তি চাই। বাঁচতে চাই।

বুধবার শিক্ষার্থীদের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে তার কার্যালয়ে গিয়ে বৈঠকে বসেন। এতে পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বিইউপি’র প্রতিনিধি ফয়সাল এনায়েত বলেন, আবরার নিহত হওয়ার ঘটনার তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দেয়া, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফুটওভার ব্রিজ, স্পিডব্রেকার নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে এক মাসের মধ্যে তার দৃশ্যমান অগ্রগতি এবং সুপ্রভাত পরিবহনকে আর কখনও রুট পারমিট না দেয়ার দাবি করেছেন।  মেয়র তাদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান আন্দোলন এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে দাবি না মানলে ২৮শে মার্চ  থেকে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। তবে গতকাল মানববন্ধন করা শিক্ষার্থীরা মূলত তাদের সেই সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়েই বিক্ষোভ কর্মসূচি চালানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। এই শিক্ষার্থীরা এদিনও আট দফা দাবিতে প্রগতি সরণির বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ফটকের পাশে ফুটপাথে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

এসময় তারা মুখে কালো কাপড় বেঁধে ও হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবাদ জানান। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে আট দফা দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন চলাকালে দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান জোনের ডিসি মোশতাক আহমেদ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। এসময় ডিসি বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা দুইদিন ধরে আন্দোলন করছেন। এরই মধ্যে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। আজকে (গতকাল) যারা এখানে এসেছেন তারা শান্তিপূর্ণভাবেই আছেন। জনদুর্ভোগ হবে এমন কিছু শিক্ষার্থীরা করবেন না বলে আমরা আশা করছি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মানববন্ধন চলাকালে বাড্ডা জোনের এডিসি আহমেদ হুমায়ূন বলেন, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করছেন। আমরা তাদের বাধা দিচ্ছি না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর