× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভাষানচরে স্থানান্তর রোহিঙ্গাদের ইচ্ছায় হতে হবে: ইউএনএইচসিআর সহকারি হাইকমিশনার

অনলাইন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
(৫ বছর আগে) মার্চ ২২, ২০১৯, শুক্রবার, ১২:২৯ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে স্থানান্তরের জন্য কাজ করছে সরকার। তবে এ নিয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। আর বাংলাদেশ সফরে এসে জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সুরক্ষা বিষয়ক সহকারি হাইকমিশনার ভলকার ত্রুক বলেন, ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। তবে ভাষানচরে স্থানান্তর হতে হবে রোহিঙ্গাদের ইচ্ছায়।

জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সুরক্ষা বিষয়ক সহকারি হাইকমিশনার ভলকার ত্রুক এর বাংলাদেশ সফর নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইউএনএইচসিআর। সংবাদ সম্মেলনে ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে স্থানান্তর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এ বিষযে জাতিসংঘের খুবই গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। আর এ আলোচনা আমাদের জন্য চালিয়ে যাওয়া জরুরী। কক্সবাজার এলাকাতে যে ক্যাম্পগুলো রয়েছে তা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ন। এ জন্য বাংলাদেশ সরকার তাদের বসবাসের জন্য যে অন্য ব্যবস্থা করছে তাতে আমরা সাধুবাদ জানাই।
আমাদের জন্য জরুরী যে তাদের সঙ্গে কাজ করা। প্রথমে যেটি নিশ্চিত করতে হবে তা হচ্ছে যেকোনোখানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর স্বইচ্ছায় হতে হবে। বর্তমান ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা যদি যেতে চায়, সেখানে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে এখনো আলোচনা চলছে।

বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভলকার ত্রুক বলেন, বাংলাদেশে উপর এ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সহযোগিতা চলমান থাকবে। বাংলাদেশ সফরে এখানকার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ সংকটের সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতির উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিঙ্গা সংকট স্থীমিত হয়ে যাওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১৭ সালের তুলনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গে জাতিসংঘেরর চুক্তি হয়েছে। আর এ প্রত্যাবাসনের মূল শর্ত হচ্ছে মিয়ানমারের ফিরে যাওয়ার সহায়ক পরিবেশ তৈরি হওয়া। এছাড়া প্রত্যাবাসন হতে হবে সইচ্ছায়, নিরাপদে এবং সন্মানের সঙ্গে যেখানে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে। তবে রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে এখনো সেখানে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে অনাস্থা রয়েছে। কারণ মিয়ানমারের রাখাইন ও চীন প্রদেশের এখনো সহিংসতা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চাপ অব্যাহত থাকা অত্যন্ত জরুরী বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ক্ষমতার মধ্যে যতটুকু রয়েছে, তা দিয়ে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষন আমরা নিশ্চিত করবো।
মিয়ানমারে সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ইউএনএইচসিআরের সুরক্ষা বিষয়ক সহকারি হাইকমিশনার বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি বেশ জটিল। রাখাইনে বসবাসরত সম্প্রদায়ের মধ্যে সংশয় দুর করতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর