কক্সবাজারে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পৃথক দুটি ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। গতকাল রাতে বন্দুকযুদ্ধের এসব ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, এদের মধ্যে দু’জন শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী, অপরজন পর্যটক হত্যা মামলার আসামি।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, গত বুধবার পুলিশের হাতে আটক হয় ইয়াবা কারবারী নুর মোহাম্মদ ও নুরুল আমিন। পরে তাদেরকে নিয়ে বৃহ¯পতিবার রাতে অভিযানে যায় পুলিশ। রাজারছড়া পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছালে আসামিদের ছিনিয়ে নিতে একদল ইয়াবা কারবারি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আতœরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় আসামিরা পালিয়ে যেতে চাইলে গুলিবিদ্ধ হন। তখন আহতদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী। নুর মোহাম্মদ উপজেলার নাজিরপাড়া এলাকার এবং নুরুল আমিন জালিয়াপাড়ার গ্রামের বাসিন্দা। এর মধ্যে নুর মোহাম্মদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে আটটি দেশীয় বন্দুক, ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও ২০টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা হয়েছে। নিহত নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি ও নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, সাংবাদিক হামলা মামলা, অর্থ লন্ডারিং, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ তিনটি মামলা রয়েছে।
এদিকে, কক্সবাজার শহরের খুরুশকুল এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী কোরবান আলী নিহত হয়েছে।
কক্সবাজার গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী নিকেলের ছোট ভাই কোরবান আলী। সেও দ্বিতীয় শীর্ষ সন্ত্রাসী। কোরবান আলী পর্যটক আবু তাহের সাগর হত্যা মামলাসহ অসংখ্য মামলার পলাতক আসামি।