× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অসুস্থ মাকে দেখা হলো না ওবায়দুরের

বাংলারজমিন

ফরিদপুর প্রতিনিধি
২৩ মার্চ ২০১৯, শনিবার

স্বামীহারা অসহায় দরিদ্র মা’কে দেখা হলো না সিএনজিচালক ওবায়দুরের। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের পুকুরিয়া নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় সে ও তার শিশু পুত্র নিহত হয়। এ ঘটনায় তার নিজের বাড়ি মধুখালীর মথুরাপুর গ্রামে চলছে শোকের মাতম। নিহতদের পরিবার জানায়, স্বামীহারা আমেনা বেগমের চার ছেলে। দুই ছেলে কাঠমিস্ত্রি, একজন দিনমজুর আর ওবায়দুর ঢাকায় সিএনজি চালিয়ে অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা ও অন্যান্য খরচ বহন করে কোনো রকমে তার সংসার চালাতো। কর্মজীবনে মুধুখালীর একটি ব্যাংকের স্থানীয় কৃষকদের ঋণদানে সহায়তা করে জীবিকা নির্বাহ করতো। তাতে পেট না চললে বছর ১৫ আগে রাজধানীতে পাড়ি দেয়। সেখানে সিএনজি চালিয়ে সংসারের পাশাপাশি মায়ের দেখভাল করতো।
ঢাকাতে থাকাকালীন সময়ে বিয়ে করেন। বর্তমানে তার দুটি সংসার। একটি স্ত্রী তার দুই পুত্র ও এক মেয়েকে নিয়ে জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় বসবাস করে অপর স্ত্রী এক পুত্র আবদুল্লাহ ও এক মেয়েকে নিয়ে টঙ্গিতে বসবাস করতো সে। ৭০ বছর বয়সি স্বামীহারা বিছানারত অসুস্থ মাকে দেখার জন্য মন সব সময়ই চাইতো। সম্প্রতি তার এক ভাতিজা জনির সুন্নতে খৎনাকে উপলক্ষে করে মায়ের কাছে আসার কথা ছিল। ছেলে আব্দুল্লাহকে নিয়ে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ওবায়দুর। ঘটনাস্থলে এসে সড়ক দুর্ঘটনায় বাপ-ছেলের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সংবাদ শুনে মা আমেনার আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে মধুখালীর মথুরাপুর গ্রাম। কেউ তাকে সান্ত্বনা দিতে পারছে না। শুধুই প্রলাপ- কোথায় আমার ওবায়দুর, কোথায় আমার আব্দুল্লাহ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর