× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নিউজিল্যান্ডেই সমাহিত হলেন ড. আবদুুস সামাদ

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে
২৩ মার্চ ২০১৯, শনিবার

পরিবার থেকে দাবি করা হলেও শেষ পর্যন্ত নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ পর নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চেই ড. আবদুস সামাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে জুমার নামাজের পর ড. সামাদসহ নিহত ৪০ জন মুসল্লির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নিহতের পরিবারের লোকজনসহ হাজারো মানুষ জানাজায় অংশ নেন। এছাড়াও রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক জানাতে দুইমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ঢাকায় বসবাসরত ড. আবদুস সামাদের বড় ছেলে তোহান মোহাম্মদ শুক্রবার মুঠোফোনে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, এর আগে নিউজিল্যান্ডে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় এবং বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ৪ টায় কোনো প্রকার ছবি উঠানো এবং ভিডিও না করার শর্তে মাত্র ২ ঘণ্টার জন্য পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। সেখানে গোসল করানো ও দোয়া শেষে পুনরায় লাশ নিজেদের জিম্মায় নেয় পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরদিন শুক্রবার সেদেশে জুমার নামাজের পরে জানাজা শেষে দুপুর ২ টায় বাংলাদেশ সময় সকাল ৭ টায় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মুসলিমদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানে তিনিসহ নিহতদের লাশ দাফন করা হয়। নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত তার মা কেশোয়ারা সুলতানা ও ছোট দুইভাই তারেক, তানভীরের সঙ্গে কথা বলে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানান।

এর আগে গত ১৬ই মার্চ তার বাবার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল।
কিন্তু পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ডাকলেও শেষ পর্যন্ত লাশ দেয়নি।

উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় গত শুক্রবার বেলা দেড়টায় ক্রাইস্টচার্চ শহরের হ্যাগলি পার্কমুখী সড়ক দীন এভিনিউতে ‘মসজিদে নূর’ ও ‘লিংউড’ মসজিদ দু’টিতে সন্ত্রাসী হামলা চালায় ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। এতে অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিহত হন নিউজিল্যান্ডে নাগরিকত্ব নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও ক্রাইস্টচার্চ শহরের হ্যাগলি পার্কমুখী সড়ক দীন এভিনিউতে ‘মসজিদে নূর’-এর মুয়াজ্জিন ড. আবদুস সামাদ।

এর এক সপ্তাহ পর শুক্রবার তার দাফন সম্পন্ন হয়। এদিন নিহত মুসল্লিদের প্রতি শ্রদ্ধা ও নিউজিল্যান্ডের মুসলিমদের প্রতি সংহতি জানাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়। শোক পালনে হ্যাগলি পার্কে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। দেশটির রেডিও ও টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় শুক্রবারের জুমার নামাজ। রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয় দুই মিনিট নীরবতা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর