পশ্চিমবঙ্গে অন্য সব দল যখন কয়েক দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে সেখানে বিজেপি প্রার্থী বাছাইয়ের জট খুলতেই অনেক সময় ব্যয় হয়েছে। শেষ পর্যন্ত শুভ-অশুভ মুহূর্ত বিচার করে দোল পূর্ণিমার পরেই ঘোষণা করা হয়েছে বিজেপি’র প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা। এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৮টির ক্ষেত্রে প্রার্থীর নাম ঘোণা করা হয়েছে। এই প্রার্থী তালিকায় তারকার কোনো চমক নেই। বরং রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের উপর আস্থা রাখা হয়েছে। দলের রাজ্য কমিটির অনেক পদাধিকারীকে প্রার্থী করা হয়েছে। অন্য দল থেকে আসা সকলকেই অবশ্য প্রার্থী করা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো বারাকপুর কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে আসা অর্জুন সিং, বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে সৌমিত্র খাঁ, যাদবপুর কেন্দ্রে অনুপম হাজরা, মালদহ উত্তরে সিপিআইএম ছেড়ে আসা খগেন মুর্মু।
দলে যোগ দেয়া তৃণমূল কংগ্রেস আমলের ডাকসাইটে আইপিএস কর্তা ভারতী ঘোষকে প্রার্থী করা হয়েছে ঘাটালে। গতবারের দুই বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে বাবুল সুপ্রিয়কে আসানসোল কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী করা হয়েছে। কিন্তু দার্জিলিং থেকে জয়ী এসএস আলুওয়ালিয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। দলের যে সব পদাধিকারী প্রার্থী হয়েছেন তারা হলেন- রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ, শমীক ভট্টাচার্য, চন্দ্র কুমার বোস, সায়ন্তন বসু, দেবশ্রী চৌধুরী ও লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রার্থী ঠিক করার জন্য রাজ্য বিজেপি’র পাঠানো তালিকার উপরেই ভরসা রাখেননি বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পেশাদার সংস্থাকে দিয়েও সমীক্ষা করানো হয়েছে। কোন আসন জিততে বিজেপি’র কোন প্রার্থী উপযুক্ত তাকে অগ্রাধিকার দিয়েই প্রথম দফার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। পশ্চিমবঙ্গকেই এবার বিজেপি’র শীর্ষ নেতারা জয়ের জন্য টার্গেট করেছেন। গো-বলয়ের রাজ্যগুলিতে বিজেপি’র আসন যখন গতবারের থেকে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা, সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য থেকে আসন বাড়িয়ে ঘাটতি পোষানোর লক্ষ্য হাতে নিয়েছে দল। রাজ্যের ২৩টি আসন জয়ের লক্ষ্য ঠিক করেছেন অমিত শাহ্। বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো! আমরা শুক্রবার থেকেই প্রচার শুরু করছি।