× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৬ কিলোমিটার যানজট

এক্সক্লুসিভ

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৩ মার্চ ২০১৯, শনিবার

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে শুরু হওয়া যানজট প্রায় ১৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে। এ যানজট মেঘনা সেতু হয়ে বাউশিয়া পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও সেতুতে ধীরগতিতে টোল আদায় ও মহাসড়কে ছুটির দিনে অতিরিক্ত পণ্যবাহী গাড়ির চাপ ও সড়কের তিন স্থানে গাড়ি বিকল হওয়ার কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। যানজট নিরসনে হাইওয়ে ও থানা পুলিশ ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যানজটের আটকা পড়ে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাইয়ুম আলী সরদার জানান, গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় মহাসড়কে বাড়তি গাড়ির চাপ ছিল। মেঘনা টোল প্লাজায় টোল আদায়ে ধীর গতির কারণে এ যানজট দীর্ঘ হতে থাকে। বৃহস্পতিবার রাত ২টার পর থেকে এ যানজট শুরু হয়।
এছাড়াও মেঘনা ব্রিজের ঢালু ও ব্রিজের ওপর দু’টি কাভার্ডভ্যান, জামালদী এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যান বিকল হয়ে পড়ার কারণে যান চলাচল কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। ফলে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে কাঁচপুর থেকে গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া পর্যন্ত জানযটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ জানযট নিরসনে কাজ করছে আজ (শুক্রবার) বিকালের মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

সরজমিন সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মহাসড়কের টিপুরদী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গাড়ির চালকরা ইঞ্জিন বন্ধ রেখে বসে আছেন। মাঝে-মধ্যে থেমে থেকে গাড়ি চললেও কিছুক্ষণ গিয়ে ইঞ্জিন বন্ধ করে বসে থাকতে দেখা যায়।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী হানিফ এন্টারপ্রাইজের যাত্রী খায়রুল ও আবুল কাশেম জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে এসে মহাসড়কের কাঁচপুর ব্রিজ পার হয়েই যানজটের কবলে পড়েছি। সকাল ৯টার দিকে কাঁচপুরে ছিলাম। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টায় ১০ মিনিটের পথ যানজট পেরিয়ে এলাম। সড়কে গাড়ির ধীরগতির কারণেই এ যানজট। গজারিয়া পরিবহনের যাত্রী মশিউর রহমান ও জুয়েনা দম্পতি বলেন, তীব্র যানজটে দীর্ঘক্ষণ বাসে বসে থেকে অস্বস্তিতে ভুগছি। ব্রিজের গাড়ি বিকল হওয়ার কারণে লোকাল যাত্রীরাও ভোগান্তিতে আছি। ২০ মিনিট হাঁটলে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারতাম। যানজট শেষ হবে এ আশায় বসে আছি।

শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক হারুন মিয়া বলেন, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও মেঘনা টোল প্লাজায় ধীরগতিতে টোল আদায় ও মহাসড়কে ছুটির দিনে অতিরিক্ত পণ্যবাহী গাড়ির চাপ ও ব্রিজে দু’টি গাড়ি নষ্ট হওয়ায় কাঁচপুর থেকে যানজট দীর্ঘ হতে থাকে। ফলে মহাসড়কে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ সৃষ্টি হয়ে যানজটে পরিণত হয়।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, মহাসড়কে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ থাকার কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ যানজটের প্রভাব শাখা পথগুলোতে এসে পড়েছে। যানজট নিরসনের হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি সোনারগাঁ থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর