মাস খানেক আগেও ভারতের মাটিতে ভারতকে হারিয়ে এসেছে নেপাল। গেলো নভেম্বরে অলিম্পিক বাছাই পর্বেও দক্ষিণ এশিয়ার রাজাদের জিততে দেয়নি সাবিত্রা-নিরুরা। কিন্তু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে কখনই হারেনি ভারত। হয়তো এ কারণেই ভারতকে হারানোর কথা জোর দিয়ে বলতে পারেননি নেপালের কোচ হরি খাড়কা। দেশের মাটিতে খেলা হওয়ার পরও অজানা একটা শঙ্কা কাজ করেছিল নেপালিদের মনেও। সেই শঙ্কাই সত্যি হলো বিরাটনগরের শহীদ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অজেয় ভারত অজেয় থেকেই জিতে নিলো আরো একটি শিরোপা। গতকাল ফাইনালে স্বাগতিকদের তারা হারালো ৩-১ গোলে।
এ নিয়ে সাফের ফাইনালে ভারতের কাছে চারবার হারল নেপাল।
রঙ্গশালার দর্শকদের অকুণ্ঠ সমর্থনে শুরু থেকে ভারতের রক্ষণে চাপ দিতে থাকলেও গোল পাচ্ছিল না নেপাল। বরং ২৬তম মিনিটে দালিমা চিব্বা ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ ফ্রি-কিকে ভারতকে এগিয়ে নেন। ৩৩তম মিনিটে ভারতের এক ডিফেন্ডার বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে সঙ্গে লেগে থাকা সাবিত্রা হেডে নেপালকে সমতায় ফেরান। ৬৩তম মিনিটে সান্ধিয়া রঙ্গনাথানের থ্রু পাস ধরে গ্রেসি দেংমাই ভারতকে ফের এগিয়ে নেন। ৭৮তম মিনিটে জাবামানি টুডুর হেড থেকে পাওয়া বল জোরালো শটে জালে জড়িয়ে ভারতের জয় নিশ্চিত করে দেন আঞ্জু তামাং (৩-১)। এ নিয়ে সাফে অপরাজিত থাকার গর্ব ধরে রাখল ভারত। পাঁচ আসর মিলিয়ে খেলা ২৩ ম্যাচে তাদের জয় ২২টি; একমাত্র ড্র ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ।
চারটি করে গোল দিয়ে সেরা গোলদাতা হয়েছে নেপালের সাবিত্রা ভাণ্ডারি ও ভারতের ইন্দুমাতি। ফ্রি-কিকে দারুণ এক গোল করে ফাইনালের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের দালিমা চিব্বা। ভারতের কাছে সেমিফাইনালে চার গোলে হারা বাংলাদেশ পেয়েছে ফেয়ার প্লে ট্রফি। সাফ সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলালের অনুপস্থিতে বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছেন আয়োজক দেশ নেপালের কর্মকর্তারা।