× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৮ মে ২০২৪, বুধবার , ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বড়লেখায় ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে গৃহনির্মাণ, ভাঙচুর, মামলা

বাংলারজমিন

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
২৩ মার্চ ২০১৯, শনিবার

 মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার গজবাগ গ্রামে সরকারি ১৫ শতক কৃষি ভূমিতে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বন্দোবস্ত না এনে শ্রেণি পরিবর্তন করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ, বাধা দেয়ায় ওপর পক্ষের দুই মহিলাসহ তিনজনের ওপর হামলা বাড়ি ঘর ভাঙচুর। উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ। ওপর পক্ষের মামলা না নেয়ার অভিযোগ এ নিয়ে নানা কথা উপজেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে। সরেজমিন মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গজভাগ গ্রামের আয়াছ আলী ও শারমিনের পরিবারের কোনো কৃষি জমি না থাকায় দীর্ঘদিন থেকে তাদের বাড়ির পাশের ১৫ শতক সরকারি কৃষি ভূমি চাষাবাদ করে আসছেন। পাশাপাশি উপজেলা ভূমি অফিসে তাদের নামে জায়গাটি বন্দোবস্তের আবেদন করেন। সম্প্রতি একই গ্রামের আবদুল ওয়াহাব ওরফে আবদুল হাই জোরপূর্বক আয়াছ আলীর দখলকৃত সরকারি কৃষি জমিতে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শ্রেনি পরিবর্তন করে গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ ব্যাপারে গজবাগ গ্রামের শারমিন বেগম বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বড়লেখা থানা এএসআই কামাল উভয় পক্ষকে জায়গায় না যাওয়ার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেন।
১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে আবদুল ওয়াহাব ওরফে আবদুল হাই জোরপূর্বক গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এর প্রতিবাদ করেন শারমিন ও তার পরিবার। ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল ওয়াহাব সংঘবদ্ধ হয়ে দা-লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর ও তাদের ঘরবাড়ির উপর হামলা চালায়। এলাকার অনেকে জানান, নিজের ছেলের কান কেটে শারমিন ও তার পরিবারের উপর মামলা দেন। শারমিনের পরিবারের দাবি বড়লেখা থানা পুলিশ তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসায় পাঠিয়ে অপর পক্ষের মামলা রেকর্ড করেছেন। আমাদের মামলা না নিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা  রেকর্ড করে আমি ও আমার স্বামী আয়াছ আলীকে রাতেই গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। মানবাধিকার সংগঠন এ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এ  নিয়ে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় চলছে। মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক বদরুল হক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে ইউপি সদস্য আজিজুল জানান, নির্যাতিত শারমিনের পরিবার নির্যাতনের শিকার হয়ে আমার কাছে এসেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন জানান, ঘটনাটি শুনেছি থানায় দু’পক্ষের মামলার ও খবর পেয়েছি।
এ ব্যাপারে বড়লেখা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়াছিনুল হক জানান, একটি পক্ষ আমার কাছে এসেছে তাদেও মামলা নিয়েছি। আর কারো অভিযোগ থাকলে অভিযোগ দিতে পারে। আমরা ব্যবস্থা নেবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর