এমনটা সাধারণত সিনেমায় ঘটতে দেখা যায়। আলাদা করে বললে, বিখ্যাত ক্রাইম থ্রিলার জেমস বন্ড সিরিজের কথা বলতে হয়। তবে বাস্তবেও ‘স্পাই গ্লাস’ ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিপক্ষের গতিবিধি নজরে রাখতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের দলগুলো যেমন নির্ভরশীল জেমস বন্ড স্টাইলের চশমার ওপর। চশমাগুলোর একেকটির বাজার মূল্য ১৫০ ব্রিটিশ পাউন্ড বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ হাজার ৫৪৪ টাকা।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি সানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো নির্দিষ্ট ম্যাচ বিশ্লেষণ করতে গেলে মাঝে মাঝে বাড়তি ভিডিও ক্লিপ প্রয়োজন হয় ক্লাবগুলোর। ওই ক্লিপগুলো সাধারণত ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় না। চাহিদা মেটাতে তাই স্পাই গ্লাসের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে ক্লাবগুলো।
বিভিন্ন স্টেডিয়ামে লোক পাঠাচ্ছে তারা। যাদের কাজ হলো দর্শক সারিতে বসে স্পাই গ্লাসের সাহায্যে চাহিদানুযায়ী ভিডিও ধারণ করা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্পাই গ্লাসগুলো দিয়ে দূর থেকেও ভালোমানের ভিডিও রেকর্ডিং করা যায়। ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) অনুমতি ব্যতিরেকে এ ধরনের ভিডিও ধারণের অপরাধে গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়নশিপের দল লিডসকে ২ লাখ পাউন্ড জরিমানা গুনতে হয়। এরপরও বিশেষ চশমা দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি কমেনি। এফএর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজেদের লোকের মাধ্যমে ম্যাচের দৃশ্য ধারণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ক্লাবগুলো।