× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিজয়ের সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক, আবাহনীর প্রথম হার

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৩ মার্চ ২০১৯, শনিবার

টানা চার জয় নিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের চলতি আসরে শীর্ষে আবাহনী। গেল আসরের চ্যাম্পিয়ানরা এবারো ছুটছিল অপ্রতিরোধ্য গতিতে। শেষ পর্যন্ত গতকাল তাদের জয়রথ থেমেছে ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আবাহনীর অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ওপেন করতে নেমে তুলে নেন চলতি আসরে টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি। সেই সঙ্গে অভিমান্যু ইশ্বরন ও আরিফুল হকের ঝড়ো ফিফটিতে ৩০৩ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় প্রাইম ব্যাংক। জবাব দিতে নেমে ম্যাচ দারুণ জামিয়ে তোলেন আবাহনীর ভারতীয় ক্রিকেটার ওয়াসিম জাফর, নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে শেষ পর্যন্ত ১৬ রান দূরেই থামে আবাহনী।
এই জয়ে আবাহনীর সমান ৮ পয়েন্ট পেলেও রান রেটে পিছিয়ে থেকে বিজয়ের দলের অবস্থান তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। দলকে জয় এনে দেয়া অধিনায়কই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। সেই সঙ্গে ঢাকা লীগের রেকর্ডেও ঢুকে পড়েছেন বিজয়। এর আগে টানা তিন সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে প্রাইম ব্যাংক। বিশেষ করে অধিনায়ক ব্যাট হাতে দলকে দারুণ ভাবে এগিয়ে নিতে থাকেন। তবে দলীয় ৫০ রানের সময় ভাঙে আরেক ওপেনার জাকিরের সঙ্গে তার ওপেনিং জুটি। এরপর এশওয়ারানকে নিয়ে জুটি বাঁধেন বিজয়। আগে দু’টি সেঞ্চুরি করে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা বিজয় আবাহনীর বিপক্ষে ১২৫ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন সানজামুল ইসলামকে ছক্কায় উড়িয়ে। ১৪ই মার্চ তৃতীয় ম্যাচে বিকেএসপিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ১০০ রান। পাঁচদিন পর একই মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে করেন  ১০১ রান। আর গতকাল ৫ চার ও দুই ছ’য়ে খেলেছেন ১০২ রানের দারুণ এক ইনিংস। দলের স্কোর বোর্ডে যখন ২০৪ রান তখন আউট হন ৮৫ রান করে একটি সেঞ্চুরির আশা জাগানো এশওয়ারান। এই জুটি ভাঙার পরও লড়াই চালিয়ে যান বিজয়। তবে সেঞ্চুরির পর দলকে বেশিদূর নিতে পারেননি। আউট হন নাজমুল ইসলাম অপুর বলে। তবে সেখানেই শেষ নয় তখনো আবাহনীর বোলারদের জন্য বিপদ বাকি ছিল। জাতীয় দল থেকে বসে থেকেই বাদ পড়া আরিফুল হক বিপিএল-এ ছিলেন দারুণ ব্যর্থ। কিন্তু ঢাকা লীগে যেন নিজেকে ফের ফিরে  পেয়েছেন। ব্যাট হাতে নেমে ৪ চার মারের ২৭ বলে করেন অপরাজিত ৫১ রান। তার ঝড়েই প্রাইম ব্যাংক ৩০০ রান ছুঁতে সক্ষম হয় তাও নির্ধারিত ওভারে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে। টানা সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বিজয় জায়গা করে নিয়েছেন ঢাকা লীগের রেকর্ড বইয়ে। গত আসরের শেষ দিকে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে কীর্তিটা গড়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এবার আবাহনীর বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে তার পাশে বসলেন এনামুল হক।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় আবাহনী। ০ তেই আউট হন ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমি। এরপর ৩৬ রান করে বিদায় নেন জাতীয় দলের তারকা সৌম্য সরকার। দলীয় ৬৩ রানে ২ উকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দল। তবে দারুণ লড়াই করেন ওয়াসিম জাফর এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। এই দু’জনের ব্যাটে দলীয় ১০০ পার করে আবাহনী। আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকিয়ে জাফর সাজঘরে ফিরেছিলেন ৭৬ রানে। এই ম্যাচেও আবাহনীর পক্ষে লড়াই করে তুলে নেন ফিফটি। এর এগিয়ে যান সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু তার সেই স্বপ্নে বাধা হয়ে গুঁড়িয়ে দেয় প্রাইম ব্যাংকের স্পিনার আল আমিন জুনিয়র। ব্যক্তিগত ৯৪ রানে আক্ষেপ নিয়ে আউট হন জাফর। তার বিদায়ে ম্যাচের মোড় ফের ঘুরে যায় প্রাইম ব্যাংকের দিকে। বল হাতে এই স্পিনার তুলে নেন মোহাম্মদ মিঠুনের উইকেটও। তবে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন শান্ত। কিন্তু ৭৩ রানে আল আমিনের তৃতীয় শিকার হয়ে নেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান।  শেষদিকে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন ছাড়া সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত। মোসাদ্দেক ৫২ রানে বিদায় হলে হার নিয়ে চার ম্যাচ পর প্রথম মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর