জনগণের সঙ্গে ধোঁকাবাজি করে চিরদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহিলা দলের আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রত্যাহার ও সুচিকিৎসার দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিশ্বে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। কিন্তু এ কথা বলতে লজ্জা হয়, বাংলাদেশ সুখী দেশের তালিকায় আরো ১০ ধাপ নিচে নেমে গেছে। আমার প্রশ্ন, সরকার যে টেলিভিশনে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা বলছে- বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। তাহলে বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১০ ধাপ নিচে নেমে গেল কেন? এর উত্তর সরকারকে দিতে হবে। ধোঁকাবাজি দিয়ে চিরদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না।
সরকার বাকশালের মাধ্যমে জনগণের স্বাধীনতা ও কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা একটি কথা শুনেছি, বাকশালের মাধ্যমে না কি গণতন্ত্র হয়! তাহলে যারা রাষ্ট্র বিজ্ঞানের পাঠ্যবই লিখেছেন, তারা কি এখন নতুন করে বই লিখবেন? তিনি বলেন, আগামীতে বাকশালের মাধ্যমে বিশ্বে গণতন্ত্র কায়েম করা হবে? এর চেয়ে হাস্যকর প্রস্তাব আর হতে পারে না। মঈন খান বলেন, আজকে প্রমাণিত হয়েছে এই সরকার জনগণের ওপর অলিখিত বাকশাল তৈরি করে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু তারা চিরদিন এটা করতে পারবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ, স্বাধীনতাকামী মানুষ এর প্রতিবাদ করবেই। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে এদেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে পুনরায় তার নেতৃত্বেই এদেশে গণতন্ত্র কায়েম করা হবে। সেই গণতন্ত্র হবে বহুদলীয় গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্র বাকশালী গণতন্ত্র নয়। বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ কোনোদিন এদেশে গণতন্ত্র চায়নি। তারা চেয়েছিল একদলীয় শাসন। ১৯৭৫ সালে তারা বাকশাল কায়েম করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সেটা গ্রহণ করেনি। কারণ একদলীয় শাসনের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা, মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, রোকেয়া চৌধুরী তামান্না, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি পেয়ারা মোস্তফা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শামছুন্নাহার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।