ব্রেক্সিটের জন্য বৃটেনকে দেয়া সময়সীমা পিছিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ফলে বৃটেনের সামনে বর্তমানে দুইটি বিকল্প রয়েছে। আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টে চেকার্সের খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর ভোটাভুটি হবে। প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র খসড়া চুক্তি যদি ওই ভোটাভুটিতে অনুমোদন লাভ করে, তাহলে বৃটেনকে ২২শে মে’র মধ্যে ইইউ ছাড়তে হবে। আর যদি চেকার্সের খসড়া চুক্তি আবারো পার্লামেন্টে অনুমোদন লাভ করতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে বৃটেনকে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছে ইইউ। এর মধ্যে বৃটিশদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর। পরে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল জানিয়েছে, বৃটেনকে বেরিয়ে যাবার সময় ২৯শে মার্চ থেকে ২২শে মে পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী যদি আবারো ব্যর্থ হন, তাহলে ১২ই এপ্রিলের মধ্যে তাদের ঠিক করতে হবে যে তারা কী করতে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবশালী অংশীদার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন বলেন, আগামী ২৩ থেকে ২৬শে মে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের নির্বাচন। এর আগেই বৃটেনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে গত তিন বছর ধরে জনগণকে বলে আসছিলেন যে, ২০১৯ সালের ২৯শে মার্চের মধ্যে ইইউ ত্যাগ করবেন।
এখন তিনিও এই বিলম্বকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে ব্রেক্সিট চুক্তি পাস করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। যেন আমাদের বিনা বাধায় নিয়ম মেনে বেরিয়ে আসার পথে আর কোনো অনিশ্চয়তা না থাকে।
এদিকে, ইইউ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন যে, অন্তত একটি পরিষ্কার ডেডলাইন তৈরি করা গেছে। আমি খুবই সন্তুষ্ট যে, এখনো অনেকগুলো অপশন আছে। তিনি আরো বলেন, সব মিলিয়ে আগামী সপ্তাহে সুরাহা না হলে, বৃটেনকে ১২ই এপ্রিলের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তারা ইইউ থেকে হুট করে বেরিয়ে যেতে চায়, না কি সময় নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বেরুতে চায়। তবে চাইলে তারা ইউরোপের নির্বাচনেও অংশ নিতে পারে।