× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ মাংস, মুরগি, ডিম ও সবজি

শেষের পাতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৩ মার্চ ২০১৯, শনিবার

ঢাকার কাঁচাবাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ-মাংস, মুরগি, ডিম ও সবজি। এর মধ্যে মুরগির বেড়ে যাওয়া দাম আর কমছে না। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬৫-১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন   করে বেড়েছে ডিমের দাম। সেই সঙ্গে বেড়েছে গরু ও খাসির মাংস, সবজি ও মাছের দাম। কাওরান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, আসন্ন শবে মেরাজ উপলক্ষে ও বনভোজনসহ সামাজিক অনুষ্ঠানের কারণে এখন মুরগির চাহিদাও বেশি। বাড়তি চাহিদার কারণে বাচ্চা উৎপাদকেরা দাম বাড়িয়েছেন। এ ছাড়া সরবরাহ চাহিদার চেয়ে কম।
তাই মুরগির দর বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মাসের শুরু থেকে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তে থাকে। গত সপ্তাহে তা কেজিপ্রতি ১৬৫-১৭০ টাকায় ওঠে। এখনো একই দরে মুরগি বিক্রি করছিলেন বিক্রেতারা। দাম আর কমেনি। তবে, কোনো কোনো জায়গায় আরো বেড়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে ব্রয়লারের কেজি ছিল ১৫০ টাকা। ব্রয়লারের পাশাপাশি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৯০ টাকা। সাধারণ সময়ে কক মুরগির কেজিপ্রতি দর ২৪০-২৫০ টাকা থাকে। আর দেশি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে অন্তত ১০০ টাকা। কেজিতে দেশি মুরগির দাম ১০০ টাকা বেড়ে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া গরুর মাংস ৫২০ থেকে ৫৫০ ও খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কাওরান বাজারে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে। ৫২০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির কথা থাকলেও অধিকাংশ দোকানে ৫৫০ টাকার মূল্যতালিকা ঝুলতে দেখা গেছে। খাসির মাংসের ক্ষেত্রে মূল্যতালিকায় দাম লেখা রয়েছে ৮০০ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন ৭৫০ টাকায়ও খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে। সিটি করপোরেশন দাম নির্ধারণ করে দিলেও মাংস তো আর তারা বিক্রি করছে না। কিনতে হচ্ছে আমাদের। বেচতেও হচ্ছে আমাদেরই। ৫৫০ টাকা লেখা থাকলেও ৫২০ টাকায়ই বিক্রি করছি। আরেক বিক্রেতা বলেন, নির্ধারিত মূল্য শুধু রমজান মাসের জন্য। কয়েকদিন আগে আমার এই মূল্য লিখেছি। এখন দাম কমেছে। খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছি।

মাছের বাজারে বাড়তি চাহিদা রয়েছে ইলিশের। দামও কিছুটা বেশি। বৈশাখকে সামনে রেখে দাম আরো বাড়তে পারে বলে জানালেন বিক্রেতারা। কাওরান বাজারের কিচেন মার্কেটের মা-বাবার দোয়া মৎস্য ভাণ্ডারের মালিক রানা বলেন, কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে ইলিশের দাম বেড়েছে। সামনে আরো বাড়তে পারে। সালাম নামের আরেক বিক্রেতা জানালেন, মাঝারি সাইজের ইলিশের দাম পিস প্রতি বেড়েছে ১০০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা, ৯০০ গ্রাম ১ হাজার টাকা এবং ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, বাজারে প্রতি ডজন (১২টি) ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ৫ টাকা কম ছিল। সাধারণত এ দর ৯০-৯৫ টাকার মধ্যে থাকে। ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে এখন দর বেশ চড়া। পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানে একই ডিম হালিপ্রতি ৩৫-৩৬ টাকা রাখছেন বিক্রেতারা। ফলে দর আরো বেশি পড়ছে। বাজারে হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৫০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছ। এ দরও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে হালিতে ১০ টাকা বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, দুই সপ্তাহ ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া সবজির দাম এখনো চড়াই রয়েছে। তবে, নতুন আসা সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটির দাম কমে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পটোলের দাম কমে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বরবটি, পটোলের মতো স্বস্তি মিলছে না ঢেঁড়স, কচুর লতি, লাউ, করলা, ফুলকপি, শিম, ধুন্দুলের দামেও। ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর লতি ও করলা। শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, বিক্রি ৭০ থেকে ৮০ টাকা পিস, ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস, ধুন্দুল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।

চড়া দামের এমন বাজারে গত দুই সপ্তাহের মতো তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে, পাকা টমেটো, শসা ও গাজর। পেঁপে আগের মতোই ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, গাজর পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর