× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিয়ের পিঁড়িতে ‘কাটার মাস্টার’ মোস্তাফিজ

শেষের পাতা

সাতক্ষীরা ও শ্যামনগর প্রতিনিধি
২৩ মার্চ ২০১৯, শনিবার

বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ‘কাটার মাস্টার’ খ্যাত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তারকা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। কনে আপন মামাতো বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী সাদিয়া পারভীন শিমু। মায়ের পছন্দ করা পাত্রীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। গতকাল বেলা তিনটায় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে তার মেজো মামা রওনাকুল ইসলাম বাবুর মেয়ের সঙ্গে  বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। তবে মোস্তাফিজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন কথা না বললেও তার বড় ভাই মাহফুজুর রহমান মিঠু মোস্তাফিজ-শিমু দম্পতির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

বেলা তখন দুপুর আড়াইটা। প্রাইভেট কার থেকে ঘিয়ে রংয়ের শেরওয়ানি পরা স্বপ্নের বর নামলেন। চোখেমুখে লাজুক হাসির ঝিলিক। বহর নিয়ে সবার মাঝে নেমে এলেন বিশ্ব কাঁপানো ‘ফিজ খ্যাত’ এই কাটার মাস্টার।
পাঁচ লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হলো বাঁহাতি পেসারের। কনের বাড়িতে আগে থেকেই চলছিল সাজসাজ রব। আত্মীয়স্বজনের কমতি ছিল না। বাদ পড়েনি মোস্তাফিজের বাড়িও। সেখানেও ক্ষীর খেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বরযাত্রী বহরের সঙ্গে সঙ্গে মোস্তাফিজ তার বাবা আবুল কাসেম আর মা মাহমুদা খাতুনকে নিয়েই পৌঁছালেন কনে সামিয়া পারভিন শিমুর বাড়িতে। বরকে সোজা নিয়ে যাওয়া হলো বাড়ির দোতলায়। সেখানে একটি কক্ষে অপেক্ষমাণ সবাই। সময় তখন ৩টা ছুঁই ছুঁই।

মোস্তাফিজের মাথায় উঠলো টোপর। বিবাহ রেজিস্ট্রার দেবহাটার নোয়াপাড়ার কাজী আবুল বাসার তখনো অপেক্ষায়। অনুমতি নিয়ে অবশেষে কলেমা পড়ালেন মোস্তাফিজ-শিমু দম্পতিকে। রেজিস্ট্রি কাগজপত্রে স্বাক্ষর করলেন। সাক্ষী হলেন কাটার মাস্টারের বড় ভাই মাহফুজুর রহমান মিঠু। আর দুপক্ষের উকিল রবিউল ইসলাম ও আজিজুর রহমান। পাঁচ লাখ এক টাকার দেনমোহরে বাঁধা পড়লেন মুস্তাফিজুর রহমান আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সামিয়া পারভিন শিমু। তবে বিয়ের অনুষ্ঠান কোনো সাংবাদিক উপভোগ করতে পারেননি। তারা কেবলই উঁকিঝুঁকি দিয়েছেন। পরিবারের লোকজন জানালেন, ‘একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিকভাবে শেষ করা হয়েছে এই বিয়ে। এরপর ধুমধাম করে অনুষ্ঠান হবে বিশ্বকাপের পর। তখন জানানো হবে সবাইকে’।

মোস্তাফিজের স্বপ্নের রাণী তার মামাতো বোন শিমু ২০১৬ সালে নলতা হাইস্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। এরপর ২০১৮ সালে দেবহাটার সখিপুর খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। পরে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে। বরের বাড়ি সাতক্ষীরা কালীগঞ্জের তারালি ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রাম থেকে চল্লিশজন বরযাত্রীর বহর এসেছিল মাইক্রো প্রাইভেট আর মোটরসাইকেলে। মধ্যাহ্ন ভোজে আপ্যায়িত হলেন আমন্ত্রিতরা। মোস্তাফিজের সেজভাই মোখলেসুর রহমান পল্টু জানান, পারিবারিকভাবে আকদ হলেও আনুষ্ঠানিকতা হবে আগামী ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর