× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চুলকাটা স্টাইলে ওসি’র ‘নিষেধাজ্ঞা নোটিশ’ নিয়ে তুলকালাম

দেশ বিদেশ

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
২৩ মার্চ ২০১৯, শনিবার

 টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার সকল সেলুনে চলতি মাসের সাত তারিখে চুলকাটা ও দাড়ি-গোঁফের মডেলিংয়ের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা, অমান্যে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ থাকায় সাঁটানো  নোটিশ নিয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।   নোটিশটিতে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশিদুল ইসলামের সিল ও স্বাক্ষর থাকায় তাতেই ঘটেছে মূল বিপত্তি। আর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও  বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওসি’র আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ও নতুন আইন জারির বিষয়টি নিয়ে নেট দুনিয়ায় ঘটতে থাকে তুলকালামকাণ্ড।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষিতে গতকাল ২২ তারিখ সকালে উপজেলার শীল সমিতির সভাপতির মাধ্যমে বিভিন্ন সেলুনে সাঁটানো নোটিশ তুলে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি।
সরজমিন সরকারি নিষেধাজ্ঞা আদেশ দিয়ে নোটিশ জারি করে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো রাশিদুল ইসলাম। এতে আদেশ অমান্য করলে নগদ ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়। এদিকে ওসি’র নতুন আইন জারির নোটিশটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও  বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে শীল সমিতির সভাপতি ও পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে বিভিন্ন সেলুনে সাঁটানো নোটিশ তুলে নেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এ বিষয়ে শীল সমিতির সভাপতি শেখর জানান, সমপ্রতি ছাত্র ও যুবকসহ সকলের চুলকাটা দাড়ি-গোঁফের মডেলিং এবং  রঙ না করার বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি আমাদের থানায় ডেকে নিয়ে সতর্ক করে দেন। পরে আইনটির লিখিত আদেশ চাইলে তিনি আমাদের এই মর্মে একটি নোটিশ লিখে আনতে বলেন।
আমরা তা লিখে তার নিকট নিলে তিনি তাতে সিল-স্বাক্ষর করে দিয়ে সকল সেলুনে সাঁটিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। পরে ওই নোটিশে আমরা সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত করে উপজেলার সকল সেলুনে সাঁটিয়ে দেই। গতকাল আবার তিনি তা তুলে ফেলার নির্দেশ দিলে পুলিশ সদস্য ও আমরা মিলে তা তুলে ফেলি।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, কিছু অভিভাবক এবং  শিক্ষকরা অভিযোগ করেন যে স্কুলের শিক্ষার্থীরা বখাটে ছেলেদের অনুকরণ করে চুলের নানা ধরনের স্টাইল করছে যা দৃষ্টিকটু।
এ নিয়ে গত সপ্তাহে অভিভাবক, শিক্ষক এবং স্থানীয় ক্ষৌরকার সমপ্রদায়কে নিয়ে বৈঠক করে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় শীল সমিতি একটি নোটিশ জারি করে। পরে আমি তাতে স্বাক্ষর করে দেই। পরে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠায় আমি নোটিশ তুলে নিতে বলি এবং নোটিশটি তুলে নেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর