বরিশালে নিরাপাদ সড়কের দাবি ও ঘাতক বাস চালককে আটকের প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিকরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার বরিশালের তেতুলতলা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহতের প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে। অন্যদিকে ঘাতক বাস চালককে গ্রেপ্তারে প্রতিবাদে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটের সকল বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা।
বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বরিশালের গড়িয়ারপাড় এলাকার তেঁতুলতলা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে চালককে আটক করার প্রতিবাদে সকালে শ্রমিকরা জেলার কেন্দ্রীয় টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের সকল বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
এদিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে। সকাল ১০টা থেকে কলেজের সামনের রাস্তায় তারা মানববন্ধন করে তারা। এ সময় বাম চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরদাবি সহ নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ করে। তবে তাদের আন্দোলন শান্তিপুর্ণভাবে চলছে।
এর আগে বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কের গরিয়ারপাড়ের তেঁতুলতলায় বাস ও মাহেন্দ্রের সংঘর্ষে ৭ জন নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসচালক আবদুল জলিলকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি করেছেন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান মুকুল।
তিনি জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার জলিলকে থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সইে সঙ্গে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ঘাতক বাসটির কাগজপত্র বৈধ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে চালক আবদুল জলিল ‘দুর্জয়’ পরিবহনের একটি বাসে যাত্রী নিয়ে বরিশালে আসা পথে তেতুলতলা নামক এলাকায় যাত্রীবোঝাই মাহিন্দ্রাকে চাপা দেন। এতে শিশু স্কুল কলেজ শিক্ষার্থী ও নারীসহ সাতজন নিহত হয়। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৪ জন। শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।