বানিয়াচং ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ময়না মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে এশার নামাজের পূর্ব মুহূর্তে দক্ষিণ যাত্রপাশার চিপারহাটি নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য ময়না ওইদিন সন্ধ্যার পরও নতুন বাজারস্থ ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে কাজ করছিলেন। পরে তিনি বাড়ির দিকে রওয়ানা দেন। এদিকে, ময়না মিয়ার ভাতিজি নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি থেকে পুকুরে অজু করতে গিয়ে মানুষের হৈ চৈ শুনতে পেয়ে ঘরে গিয়ে তার মাকে জানায়। এ সময় তারা এসে দেখে পুকুরের পাড়ে রক্তের দাগ রয়েছে। এরই মধ্যে তারা দেখতে পান পুকুরের পশ্চিম পাশে একটি মৃতদেহ পড়ে আছে। কাছে গিয়ে দেখতে পান মৃতদেহটি ইউপি সদস্য ময়না মিয়ার।
ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সে অনুযায়ী ময়না মিয়ার গতিবিধি লক্ষ্য রাখে। গত শুক্রবার রাতে অফিসের কাজ শেষে ময়না মিয়া বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তিনি পুকুর পাড়ে পৌঁছামাত্র দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুর্বৃত্তরা তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মাথা, মুখসহ শরীর ক্ষতবিক্ষত করে। একপর্যায়ে ময়না মিয়ার মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। অপরদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়াকে ফোনে এ ঘটনা জানালে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার ওসি রাশেদ মোবারকসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, এ ঘটনার খবর পেয়ে ইউএনও মো. মামুন খন্দকারও ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান। এ ব্যাপারে ওসি রাশেদ মোবারকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ হত্যাকাণ্ডটি পূর্ব পরিকল্পিত। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। আশা করা যায় খুব শিগগিরই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হবে। ময়না মিয়ার নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়া। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তিনি।