লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে বাস কাউন্টারে যাত্রী গণধর্ষণ ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। ওই নারী যাত্রী বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ এ মামলায় বুড়িমারী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদকসহ ৩ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন বুড়িমারীর মৃগলীবাড়ির সিরাজুল ইসলামের পুত্র স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রেজাউল ইসলাম (৩৮), পাটগ্রামের ইসলামপুর তালতলা মৃত রমজান আলীর পুত্র মো. নুরন্নবী (২৬) ও হাতিবান্ধার বাড়াইপাড়া গ্রামের মৃত আফসার উদ্দিনের পুত্র নজরুল ইসলাম নজু (২৮)। এ মামলায় পলাতক রয়েছে অপর আসামি আনছারুল ইসলাম (২৬)। আটককৃতদের লালমনিরহাট আদালতে গতকতাল সকালে প্রেরণ করলে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করে। পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনসুর আলী জানান, বাকি আসামিকে গ্রেপ্তারের অভিযান চালানো হচ্ছে। জানা গেছে, ভারত যাওয়ার উদ্দেশ্যে যশোদা পরিবহনের একটি বাসে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা থেকে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরে আসে ওই নারী।
পরে তার পাসপোর্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনে কাগজপত্র ঠিকঠাক করার কথা বলে ওই বাস কাউন্টারের একটি কক্ষে রাখে। পরে ওই কক্ষে প্রবেশ করে বুড়িমারী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, নুরন্নবী, আনছারুল ও ভোম্বল নামের ৪ জন জোরপূর্বক ওই নারী পাসপোর্টধারী যাত্রীকে গণধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারী বাসযাত্রী ও পাসপোর্টধারী যাত্রীকে উদ্ধার করে। গণধর্ষণের শিকার ওই যাত্রীর বাড়ি শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায়। যশোদা পরিবহন বাসটি ময়মনসিং রুটে যাতায়াত করে। বাস যাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় অন্য পাসপোর্টধারী যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ সুপার এস.এম রশিদুল হক জানান, বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি একজনকে আশা করছি দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।