রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তংচঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শুভ মঙ্গলকে প্রধান আসামি দিয়ে ২০ জনের নামোল্লেখ করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। বিলাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. পারভেজ জানিয়েছেন, উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নেতা মনির এই মামলার বাদী হয়েছেন।
এদিকে এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি স্নেহাশীষ ওরফে আশিষ চাকমা (৪৩)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে রাঙ্গামাটি শহরের বলপিয়া আদাম থেকে আশিষকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহেদুল হক রনি। তিনি জানান আটককৃতের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যৌথবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আটককৃত স্নেহাশীষ চাকমা ওরফে আশিষ ছাত্রজীবনে পিসিপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তিনি বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তংচঙ্গ্যা হত্যাকাণ্ডের একজন এজাহারভুক্ত আসামি। প্রাথমিকভাবে সুরেশ কান্তি তংচঙ্গ্যা হত্যার সঙ্গে আশিষের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যৌথবাহিনী। সূত্রটি জানায়, প্রাথমিকভাবে সুরেশের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আশিষের বিষয়টি জড়িত থাকার কথা জানতে পেরে গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে তার ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়।
নির্ভরযোগ্য সূত্রটি জানায়, এরই মধ্যে সুরেশকে হত্যার পর আরো দুজন আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা নেয় আশিষ ও তার দলীয় সহকর্মীরা। বিষয়টি জানতে পেরেই তাকে শনিবার ভোরে রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপাস্থ বলপিয়া আদাম থেকে আটক করা হয়।