× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শামিয়ানার নিচে চলছে ক্লাস

বাংলারজমিন

সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৪ মার্চ ২০১৯, রবিবার

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ৩৬নং তেলকুপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে ক্লাস চলছে শামিয়ানার নিচে। শ্রেণি কক্ষগুলোতে শিক্ষার্থীদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় স্কুল ছাদের উপর শামিয়ানা টাঙিয়ে চলছে পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চলছে। এতে প্রচণ্ড গরমে শিক্ষার্থীরা দিশাহারা হয়ে পড়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রেখে এখানে একতলা ভবনটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন মনে করছেন সচেতন মহল। জানা যায়, সলঙ্গা থানার তেলকুপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪২ সালে স্থাপিত হয়। এ বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৩ শতাধিক। শিক্ষক রয়েছেন মাত্র তিন জন। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে এলজিইডি প্রায় ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করেন।
যার একটি কক্ষ অফিস রুম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অপর দুটি কক্ষে দুই শিফটে চলে পাঠদান। ফলে শ্রেণি কক্ষগুলোতে শিক্ষার্থীদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় স্কুল ছাদের উপর শামিয়ানা টাঙ্গিয়ে চলে পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান। এতে প্রচণ্ড রোদে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অপরদিকে আকাশে মেঘ দেখলেই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ছোটাছুটি করে নিচে নেমে পড়ে। এ বিষয়ে বুধবার সকাল ১০টার দিকে সরজমিন ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় দ্বিতীয় শিফটে তৃতীয় শ্রেণিতে ৬০ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৬১ জন ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৪৫ জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত রয়েছেন। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় গাদাগাদি করে বসে আছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সহকারী দুই শিক্ষক নিচ্ছেন ক্লাস। প্রধান শিক্ষক লতিফা খাতুন জানান, পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস ছাদের উপর শামিয়ানার নিচে নেয়া হয়। আবহাওয়া খারাপ থাকায় শিক্ষার্থীদের ভবনের কক্ষে নিয়ে আসা হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের বসতে হচ্ছে গাদাগাদি করে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাজেদুল ইসলাম মিন্টু জানান, স্কুল ভবনটি ৪তলা ফাউন্ডেশনে করা। কিন্তু প্রাথমিকভাবে একতলা করা হয়েছে। শ্রেণি কক্ষ বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবার দ্বিতীয়তলা নির্মাণের আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে শ্রেণি কক্ষ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন পেলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠুভাবে পাঠদানের জন্য দ্রুত শ্রেণি কক্ষ বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর