× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় লড়ছেন ১৭৫ প্রার্থী

বাংলারজমিন

আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ থেকে
২৪ মার্চ ২০১৯, রবিবার

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে রোববার কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৩টি উপজেলার মধ্যে মিঠামইন উপজেলায় একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের ছোট বোন সদর ইউপি’র দু’বারের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আছিয়া আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে ১২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এবং ১৩টি উপজেলাতেই ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। এই নির্বাচনে মোট ১৭৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মোট ৪৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৭৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৫৬ জন ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২১ লাখ ২৬ হাজার ৮৩০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ৭৩ হাজার ২৪১ জন এবং মহিলা ভোটার ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৬০৭ জন। মোট ৮৩৮টি কেন্দ্রের ৫ হাজার ৩৫৭টি ভোটকক্ষে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে গেছে।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাকাউদ্দিন আহাম্মদ রাজন (নৌকা), এনপিপি প্রার্থী মো. সুমন মিয়া (আম), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সদর উপজেলার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান (কাপ-পিরিচ) এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী সদর উপজেলার বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নাহার লুনা (দোয়াত-কলম) ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের তথ্য ও গবেষণা সেলের সাবেক কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন আহমেদ সেলু (আনারস)।
হোসেনপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শাহ জাহান পারভেজ (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রয়াত আয়ুব আলীর ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (আনারস) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. আব্দুল কাদির স্বপন (দোয়াত-কলম)। তাড়াইল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আজিজুল হক ভূঞা মোতাহার (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী তাড়াইল উপজেলা পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া কাঞ্চন এর ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম ভূইয়া শাহীন (লাঙ্গল), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির ভূঞা (মোটর সাইকেল) এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইসরাত উদ্দিন আহাম্মদ বাবুল (ঘোড়া) ও আলহাজ্ব একেএস জামান সম্রাট (আনারস)।
করিমগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক আলহাজ্ব নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ (নৌকা), এনপিপি প্রার্থী মো. আনোয়ারুল কিবরিয়া (আম), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বর্তমান উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খাঁন দিদার (দোয়াত-কলম) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রফিকুর রহমান (আনারস)।
কটিয়াদী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তানিয়া সুলতানা হ্যাপী (নৌকা), জাকের পার্টির প্রার্থী শহীদুজ্জামান স্বপন (গোলাপ ফুল), আওয়ামী লীগের তিন বিদ্রোহী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়ন মো. আলী আকবর (দোয়াত-কলম), আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলতাফ উদ্দীন (মোটর সাইকেল) ও ডা. মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান (ঘোড়া) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আনোয়ার আনার (আনারস)। ভৈরব উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. সায়দুল্লাহ মিয়া (নৌকা) এবং আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর (মোটর সাইকেল) ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অলিউল ইসলাম (আনারস)। নিকলী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কারার সাইফুল ইসলাম (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইসহাক ভূঞার ছেলে আহসান মো. রুহুল কুদ্দুস ভূঞা (মোটর সাইকেল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসিরুজ্জামান আসলাম (আনারস)। ইটনা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান (নৌকা) এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. খলিলুর রহমান (আনারস)। অষ্টগ্রাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জেমস (নৌকা) এবং আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ কমল মিয়া (ঘোড়া) ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নেতা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ভূঞা (আনারস)।
বাজিতপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ছারওয়ার আলম (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম (লাঙ্গল) এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মআহ্বায়ক মো. মোবারক হোসেন মাস্টার (আনারস)। পাকুন্দিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম রেনু (নৌকা) এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম শওকত (লাঙ্গল)। কুলিয়ারচর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইয়াছির মিয়া (নৌকা), জাকের পার্টির প্রার্থী মো. সাইদুর রহমান (গোলাপ ফুল), ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী আবুল কাসেম ফজলুল হক (মিনার) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুছ ছাত্তার খোকন (আনারস)। মিঠামইন উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর