চার লেনে উন্নীত হচ্ছে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়ক। আর এজন্য সড়কটির জরিপ কাজের ম্যাপ নেয়া হলো ড্রোনের মাধ্যমে। শনিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের পাশে রাউজান সরকারি বিশ্ববিদ্যলয় কলেজ মাঠ থেকে ড্রোন উত্তোলন করেন সড়ক জনপথ বিভাগের চট্টগ্রাম অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী মং টুই মারমা। তিনি ড্রোনের মাধ্যমে হাটহাজারী উপজেলা সদর থেকে রাউজান রাবার বাগান পর্যন্ত সড়কের ছবি ধারণ করেন।
ডেস কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাউজানের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যলয়ের এসও কমল বিজয়া চাকমা, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন রেজা ও রাউজান পৌরসভার দ্বিতীয় প্যনেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন রেজা এ প্রসঙ্গে বলেন, ড্রোনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহসড়কে চার লেনের নির্মাণকাজের জরিপ ড্রোনের মাধ্যমে চালানো হয়। যা ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম এক অগ্রগতি। এনালগ পদ্ধতিতে এ ধরণের জরিপ কাজ চালাতে আগে মাসের পর মাস সময় অতিবাহিত হয়েছে। আর ড্রোনের মাধ্যমে মাত্র এক ঘন্টায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার সড়কের ম্যাপ নেয়া সম্ভব হয়েছে।
তিনি জানান, প্রায় ৫২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে হাটহাজারী থেকে রাউজান রাবার বাগান পর্যন্ত মহাসড়কটির চার লেইনের নির্মাণকাজ শিগগির শুরু হবে।
এ সড়ক দিয়ে হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি উপজেলা এবং পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার আওতাধীন উপজেলাসমুহের ২০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিনিয়ত যাতয়াত করে।
এ মহসড়ক দিয়েই রাঙ্গামাটি জেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত ফল, সবজি, বাঁশ, কাঠসহ বিভিন্ন পণ্য ট্রাক ও জিপভর্তি করে নেয়া হয়। আবার রাঙামাটির সৌন্দর্য উপভোগ করতেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সড়কটি ব্যবহার করেন।
সংকুচিত এ মহাসড়কে যাত্রীদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যানজটে পড়ে নষ্ট হচ্ছে যাত্রীদের মূল্যবান সময়। আবার ঘটছে দুর্ঘটনাও। ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের হাটহাজারী বাস স্টেশন থেকে রাউজান রাবার বাগান পর্যন্ত সড়কটি চার লেইন করার উদ্যোগ নেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সমপর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী।