আসছে ডিসেম্বর মাসে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হতে যাচ্ছে দেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ঘেঁষা পটুয়াখালী জেলাসহ উপকূলীয় জেলাসমূহের শহর বন্দরসহ বিস্তীর্ণ গ্রামগুলো।
দশম জাতীয় সংসদ তথা সংবিধান রক্ষার চ্যালেঞ্জিং নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে সরকার গঠন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। এ লক্ষ্যে সরকার ২০১৬ সালে ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ প্রকল্প হাতে নিয়ে দেশের সর্বদক্ষিণে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ঘেঁষা পটুয়াখালীর আগুনমুখা নদীর তীরে এক হাজার একর জমির উপর ‘পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট’ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ১৪ই অক্টোবর এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ প্রকল্পের প্রথম ফেইজের ৬৮ ভাগ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ স্থাপনায় বয়লার, টারবাইন, জেনারেটর, ৪০ কেভি ট্রান্সফর্মার প্রভৃতি ইকুয়েপমেন্ট স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। এ ফেইজে চলতি বছরের শেষ দিকে ‘পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে জাতীয় গ্রিডে ৬০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক দরবার হলে জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় ‘পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট’ স্থাপনের অর্গগতি উপস্থাপনকালে ‘পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট’ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজওয়ান ইকবাল খান সভায় এ তথ্য অবহিত করেন। এ সময় তিনি বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের রিপোর্ট অনুযায়ী ‘পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট” প্রকল্পের কাজ ৬৮ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে এবং চলতি বছরের শেষ দিকে ‘পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট’ থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এর ফলে দেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গপসাগর ঘেঁষা পটুয়াখালী জেলাসহ উপকূলীয় জেলাসমূহের শহর বন্দরসহ বিস্তীর্ণ গ্রামগুলো বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত যেমন হবে, তেমনি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান দক্ষিণাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি। দূর হবে বিদ্যুৎ সংকট। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (এ জয়েন্টভেঞ্চার অব এনডাব্লিউপিজিসিএল অ্যান্ড সিএমসি)।