× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কোটচাঁদপুরে বয়স্ক ও মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ

বাংলারজমিন

কোটচাঁদপুর, (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
২৪ মার্চ ২০১৯, রবিবার

কোটচাঁদপুর উপজেলার ১নং সাফদারপুর ইউপি সদস্য আয়ুব হোসেন খানের বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও রাস্তা নির্মাণের কথা বলে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সত্যতা জানতে বুধবার ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের লক্ষিকুণ্ডু গ্রামে সরজমিন গেলে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিনিধির। গ্রামের লষ্কর পাড়ার মণ্টু লষ্করের স্ত্রী রেক্সনা খাতুন বলেন ১০ মাস আগে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড দেয়ার কথা বলে খরচের জন্য ইউপি সদস্য আয়ুব ১ হাজার টাকা নেন। টাকা দেয়ার দুই মাস পরে সিজারের মাধ্যমে কোটচাঁদপুর একটি ক্লিনিকে সন্তান জন্ম দেন রেক্সনা খাতুন। তিনি ক্লিনিক থেকে বাড়িতে আসার পর পরই ভাতার টাকা বেশি করে দেয়া হবে বলে আয়ুব পুনরায় আড়াই হাজার (২৫শ’) টাকা হাতিয়ে নেন। বর্তমানে তার কোলের সন্তানের বয়স ৮ মাস। এখনো তিনি মাতৃত্বকাীলন কার্ড বা ভাতার টাকা পাননি। খান পাড়ার সাইদুল খান বলেন, আমার স্ত্রী তানিয়া খাতুনের মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড ও ভাতা বাবদ ৩০ হাজার টাকা দেয়ার নাম করে আয়ুব আমার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নেন।
এই তিন হাজার টাকা ইউএনও অফিসের খরচ দিতে হবে বলে তিনি জানান। সাইদুল খান বলেন, আমি দিনমজুর বড় কষ্টে যোগাড় করে তিন হাজার টাকা আয়ুবকে দিয়েছিলাম কিন্তু ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও ভাতার কার্ড বা টাকা কোনোটাই পাইনি। এখন তিনি বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখাচ্ছেন। ওই গ্রামের লষ্কর পাড়ার সানা লষ্করের ছেলে আব্দুল হাকিম অভিযোগ করেন, তার মা জরিনা বেগমের বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে আয়ুব হোসেন দুই হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু মা বয়স্ক ভাতার কার্ড পাননি। তিনি আরো অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, মণ্ডল পাড়ার মকচ্ছেদ মণ্ডলের বাড়ির সামনের রাস্তা করে দেয়া বাবদ আয়ুব ১২ হাজার টাকা অর্থ সুবিধা নিয়েছেন মকচ্ছেদ মণ্ডলের কাছ থেকে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আয়ুব হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। একটি মহল তাকে হেয় করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি এ প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। বিষয়টি নিয়ে সাফদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নওশের আলী নাছিরের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার মাতৃত্বকালীন ভাতা বা বয়স্ক ভাতা দেয়নি আয়ুব এ টাকা কিভাবে নেয়। আপনাদের কাছে অভিযোগ আসতে পারে তবে আমার এ বিষয়ে জানা নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজনিন সুলতানা এ প্রতিনিধিকে বলেন, কিছুদিন আগে মৌখিকভাবে এমন অভিযোগ শুনেছিলাম। এ অভিযোগের বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেবকে বলেছিলাম তিনি এমন অভিযোগ মিথ্যা বলেছেন। তারপরও আমি আয়ুব হোসেন খানকে সতর্ক করে দিয়েছি। এমন অভিযোগ যদি আপনাদের কাছে এসে থাকে তাহলে আমার কাছে দিতে বলুন আমি ব্যবস্থা নেব।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর