× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যেখানে পিছিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল

খেলা

সামন হোসেন, কাঠমান্ডু নেপাল থেকে
২৪ মার্চ ২০১৯, রবিবার

স্পন্সরের পাশাপাশি ফিফা এএফসি থেকে আসছে আর্থিক অনুদান। তারপরও ইয়ুথ ফুটবল উন্নয়নে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এখনো তৈরি করতে পারেনি একটি ফুটবল একাডেমি। ফিফার আর্থিক সহযোগিতায় একটি শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৩ই নভেম্বর। সিলেট নগরের উপকণ্ঠে খাদিমনগরে ১৩ একর জায়গাজুড়ে সিলেট বিকেএসপিতে গড়ে ওঠা ওই একাডেমি আর্থিক কারণে বন্ধ হয়ে যায় বছর না ঘুরতেই। এদিক দিয়ে অনেক এগিয়েছে নেপালের ফুটবল। অল নেপাল ফুটবল ফেডারেশনের (আনফা) অধীনে ললিতপুরে সাদ্দাপাতো রয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ ফুটবল একাডেমি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরো চারটি টেকনিক্যাল সেন্টার আছে দেশটির।
আনফার একাডেমি থেকে ওঠে আসা খেলোয়াড়ই খেলছেন পুরুষ ও মহিলা জাতীয় দলে।
প্রায় বার বছর ধরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তার দীর্ঘ সময়ে সাফের পাঁচ আসরে অংশ নেয় বাংলাদেশ। যার চারটিরই গ্রুপ পর্ব থেকে যায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। মেয়েদের বয়সভিত্তিক ফুটবলে সাফল্য আসলে সিনিয়র পর্যায়ের অবস্থা প্রায় একই রকম। এই ১২ বছরে নেপালের র‌্যাঙ্কিং দেড় শ’র কাছে আসলেও, বাংলাদেশের অবস্থান প্রায় ২০০ ছুঁই ছুঁই। এ সময়ে নেপাল জাতীয় দলের সঙ্গে সাত বার দেখা হয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে মাত্র একবার জয় পেয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। সর্বশেষ গত বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৬১তম স্থানে থাকা দেশটি। মহিলা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সাবিনা-কৃষ্ণাদের দাঁড়াতে দেয়নি নেপাল। নেপাল এটি সম্ভব করেছে একাডেমির কল্যাণে। নেপালের ফুটবল নিয়ে অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (আনফা) সদস্য  কিরণ রায়  জানান, নেপালে জেলা ৭৭টি। ৪৫টি জেলায় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আছে। প্রতিটি জেলাতেই অন্তত দু’জন করে আনফার কোচ কাজ করেন। কোনো জায়গায় দু’একজন মহিলা কোচও আছেন। এসব জায়গা থেকে বছাই করা ফুটবলাররাই সুযোগ পান আনফার ফুটবল একাডেমিতে। আনফার সাদ্দোবাদোর একাডেমি ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরো চারটি টেকনিক্যাল সেন্টার আছে। প্রতিটি সেন্টারে আনফার দুই-তিনজন কোচ কাজ করছেন। এই টেকনিক্যাল সেন্টারগুলোতে আবাসনের ব্যবস্থা আছে। প্রয়োজনে বিভিন্ন দলের আবাসিক ক্যাম্প হয় এখানে। চলতিবছর থেকে একেবারে তৃণমূল কাজ শুরু করেছে আনফা। এনিয়ে আনফার এই মুখপাত্র বলেন, এ বছর থেকে আমরা অনূর্ধ্ব-১২ থেকে তৃণমূলের কাজ শুরু করেছি। প্রতিটি জেলা থেকেই ১২-এর নিচের ছেলেদের বাছাই করে নিয়ে আসা হয়েছে টেকনিক্যাল সেন্টারে। সেখানে কিছুদিন কাজের পর ৫০ থেকে ৬০ জনে নামিয়ে আনা হয় চূড়ান্ত বাছাইয়ের জন্য। নেপালের ৩১ জন আছেন এএফসি ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ। ‘বি’ লাইসেন্সধারী কোচের সংখ্যা ৭৭ জন। এদের বেশির ভাগই কোনো না কোনো ভাগে আনফার সঙ্গে জড়িত আছেন বলেন জানান কিরন রায়। দুই সপ্তাহ আগে জাতীয় দলের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে সুইডিশ কোচ জোহান ক্যালিনকে। এই কোচের কাজ হচ্ছে শুধু জাতীয় দল নিয়ে কাজ করা। বাংলাদেশের এ বছর সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলার হলেন ইমন বাবু। নবাগত বসুন্ধরা কিংসের এই ফুটবলার পেয়েছেন ৬০ লাখ। আর নেপালের অন্যতম সেরা ফুটবলার মানাং মার্সিয়ান্দির অনন্ত’র পারিশ্রমিক মাত্র ১০ লাখ। ফুটবলারদেও পারিশ্রমিকের মতো ফিফা এএফসি থেকেও বাংলাদেশের অনুদান নেপালের চেয়ে বেশী। ফিফা থেকে বছরে বাংলাদেশের আয় ৫ লাখ ডলার। এর বাইরে ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামে বরাদ্দ আছে সাড়ে ৭ লাখ ডলার। বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে সেটা ঠিকই আদায় করছে বাংলাদেশ। একাডেমিটা চালাতে বছরে ৬০ লাখ টাকার মতো প্রয়োজন হয় নেপালের। ফিফা, এএফসি এবং নেপাল সরকারের অর্থায়নে একাডেমি এবং টেকনিক্যাল সেন্টারগুলোর কর্মকাণ্ড চলে বলে জানান আনফার এই কর্মকর্তা। অতি সম্প্রতি একটি মেয়েদের একাডেমি শুরু করতে যাচ্ছেন তারা। ফিফা এএফসিতে দৌড়াদৌড়িতে এগিয়ে থাকলে ফুটবল উন্নয়নের অবকাঠামোতে নেপালকে পেছনে ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। এই জন্যই দেশের ফুটবলে এত দৈন্যদশা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর