× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দ্বিতীয় ব্রেক্সিট গণভোটের দাবিতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
২৪ মার্চ ২০১৯, রবিবার

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে লন্ডনের রাজপথে জড়ো হয়েছেন হাজারো বৃটিশ। তারা মূলত, ব্রেক্সিট ইস্যুতে আরেকটি গণভোটের দাবি তুলেছেন। গতকাল রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা লন্ডনের বিভিন্ন সড়কে র‌্যালি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ শনিবারের বিক্ষোভে যোগ দিতে রাজধানী লন্ডনে জড়ো হন। রাবেকাহ-কলিন দম্পতি নটিংহাম থেকে লন্ডনের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। সঙ্গে নিজেদের দুই সন্তানকেও নিয়ে এসেছেন। রাবেকাহ দ্বিতীয় গণভোটের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি (ব্রেক্সিট) আবারো জনগণের কাছে ছেড়ে দিন। আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, আমাদের সন্তানরাও আমাদের মতো একই সুযোগ-সুবিধা ভোগ করুক।
আরেক বিক্ষোভকারী রজার জানান, তিনি ব্রেক্সিটের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। বলেন, ব্রেক্সিট স্বীকৃতভাবে অর্থনীতির জন্য খারাপ। এটা আমার সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্যও খারাপ।
শনিবারের বিক্ষোভের অন্যতম আয়োজক জেমস ম্যাকগ্রোরি বলেন, দ্বিতীয় ব্রেক্সিট গণভোটের আন্দোলন এখন বৃটেনের সবচেয়ে বড়ো আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। দলমতনির্বিশেষে সবাই এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। গত অক্টোবরে ব্রেক্সিটের বিরোধিতা করে লন্ডনের রাস্তায় নেমেছিল প্রায় ৭ লাখ মানুষ। আয়োজকরা মনে করছেন, এবারের বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা পূর্বের ওই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৃটিশরা ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেন। তবে দীর্ঘ তিন বছরের দর কষাকষির পরেও ব্রেক্সিটের ভাগ্য এখনো অনিশ্চিত। কেননা, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা দফায় দফায় পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। পার্লামেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর এই মতবিভেদের কারণে বৃটিশ রাজনীতি কার্যত সংকটের মুখে পড়েছে। আগামী সপ্তাহে চেকার্সের খসড়া ব্রেক্সিট প্রস্তাবনার ওপর আবারো ভোটাভুটি হবে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত রয়েছে যে, ওই ভোটেও তেরেসা মে’র ব্রেক্সিট প্রস্তাবনা পরাজিত হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রেক্সিট চুক্তিতে ক্রমাগত ব্যর্থ হওয়ার কারণে পদত্যাগ করার জন্য তেরেসা মে’র ওপর চাপ অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমানে ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে বৃটিশ রাজনীতি দুটি ধারায় বিভক্ত। তবে এ বিষয়ে সবাই একমত যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কৌশলগতভাবে এটিই বৃটেনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর