বাসে করে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসেছেন ছোট্ট শিশু কবিতা। দুপুরে খাবার সময় পোলাও, রোস্ট, খাসির মাংস, মিষ্টি ও কোক দেখে তার চোখ ছানাবড়া। এসব খাবারের মধ্যে সে কিছু খাবার নিয়ে যেতে চান মায়ের জন্য। একই অবস্থা ছোট্ট শ্যামলীর বেলায়ও। তিনিও বোনের জন্য খাবার নিয়ে যেতে চান। গতকাল শ্যামলীর তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার অফিসে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের খাওয়ার সময় মানবজমিনের এ প্রতিবেদককে এমন প্রতিক্রিয়া জানান সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা। গতকাল এর আয়োজন করেন তেজগাঁও জোনের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার। ব্যতিক্রমী এ আয়োজনে টাঙ্গাইল থেকে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে নিয়ে আসা হয়। এরপর তেজগাঁও ডিসি অফিসে দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মীসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিরা দুপুরের খাবার খান। ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় শিশুদিবস’ উপলক্ষে শিশুদের নিয়ে তিনি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দুপুরের খাবারের পর পোশাক বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া তাদের বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হয়। একই সঙ্গে শ্যামলী শিশুমেলার রাইডে চড়ে বেশ উপভোগ করেন সুবিধাবঞ্চিত ছোট্ট শিশুরা। বিকালে বাসে করে তাদের টাঙ্গাইলে পাঠানো হয়। এ সময় দেয়া হয় শুকনো খাবার। দুপুরে খাবারের আগে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিকল্পনার নেপথ্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আগামীতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখবো আমরা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিআইজি (হাইওয়ে) আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) কৃষ্ণপদ রায়সহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।