নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চার সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা মো. রুহুল আমিনের জামিন আদেশ প্রত্যাহার (রিকল) করেছেন হাইকোর্ট। এতে গত সোমবার তাকে দেয়া এক বছরের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আদেশ বাতিল হয়ে গেল। তার কারামুক্তিও মিলছে না আগের জামিন প্রত্যাহার করায়।
গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চ খাস কামরায় বসে এ প্রত্যাহার আদেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার ধর্ষক রুহুল আমিনের জামিন লাভের বিষয়টি প্রকাশ হলে রাষ্ট্রপক্ষে অভিযোগ করা হয় আসামি পক্ষের আইনজীবী বিভ্রান্তির আশ্রয় নিয়ে জামিন নিয়েছেন।
আদেশ প্রত্যাহারের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায় ও অমিত তালুকদার। শুনানিতে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. আশেক-ই-রাসুল ছিলেন না। তিনি গত ২১শে মার্চ রাতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ডে গেছেন বলে জানা গেছে।
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সুবর্ণচরের আলোচিত গণধর্ষণ মামলার আসামি মো. রুহুল আমিনের জামিন আদেশ রিকল করে বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
এর ফলে ওই আসামিকে দেয়া আগের জামিন আদেশটি বাতিল হয়ে গেল। তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আর কার্যকর নেই। এখন আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেবো যাতে জেল থেকে বের হতে না পারে।
তিনি বলেন, যদি আদালতের সামনে সকল তথ্য প্রমাণ সন্নিবেশিত করা হতো তবে অবশ্যই আদালত জামিন দিতেন না। আদালতকে ভুল বুঝিয়ে জামিন নেয়া হয়েছিল। যা আদালত রিকল করেছেন।
মাহবুবে আলম আরো বলেন, ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে। একইসঙ্গে ২৫শে মার্চ আদালতের কাছে আদালত অবমাননার রুল জারির আরজি জানাবো। এ ঘটনাটি নজিরবিহীন। যেখানে সমগ্র জাতি ধর্ষণ মামলার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন এবং ভয়ঙ্কর ক্ষুব্ধ সেখানে জামিন হয়ে যাওয়াটায় সবাই হতবাক হয়ে গিয়েছেন।