‘এখনই সময় অঙ্গীকার করার, যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার।’ এই স্লোগানকে ধারণ করে আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ব্র্যাক ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থাসমূহ যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বক্তারা এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, যেহেতু রোগীকে ছয় মাস ধরে নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। এ জন্য রোগীকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ওষুধ একদিন সেবন বাদ দিলে তাকে আবার পেছন থেকে শুরু করতে হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে বর্তমানে ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শিশু যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৩৫২ জন।
তবে দ্রুত নগরায়ন, কর্মজীবী মানুষের স্থানান্তর, জিন এক্সপার্ট মেশিনের অপ্রতুলতা, জনসাধারণের মাঝে অসচেতনতা ও কুসংস্কারসহ বিভিন্ন কারণে এখনো ২৬ শতাংশ যক্ষ্মারোগী শনাক্তের বাইরে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম, ডেমিয়েন ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর অং কাই জাই মগ, ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজেস কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম, ডা. মাহফুজা রিফাত, আইসিডিডিআর,বি’র প্রতিনিধি ডা. সায়েরা বানু, ন্যাশনাল এন্টি টিউবারকিউলসিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নাটাব)-এর প্রেসিডেন্ট মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) সহকারী পরিচালক আফজালুর রহমান প্রমুখ।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডিআর-টিবির মুখ্য কর্মকর্তা ডা. নাজিস আরেফিন সাকি।