× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তরুণ নারী এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় তামাকপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি চাই

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৪ মার্চ ২০১৯, রবিবার

আসন্ন ২০১৯-২০ বাজেটে তামাকপণ্যে যুগোপযোগী এবং কার্যকর করারোপের মাধ্যমে মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী কয়েকটি সংগঠন। গতকাল গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্‌স (সিটিএফকে) এর সহায়তায় প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মা’র উদ্যোগে তামাকবিরোধী সংগঠন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, এসিডি, ইপসা, বিটা, সুপ্র, এবং তামাকবিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) সম্মিলিতভাবে ‘কেমন তামাক কর চাই’- শীর্ষক প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন এটিএন বাংলার প্রধান প্রতিবেদক ও এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স- আত্মা এর কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় তামাক বিরোধী প্ল্যাটফর্ম এর চেয়ারম্যান এবং  অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, আমরা কয়েক বছর ধরেই তামাক পণ্যের করকাঠামো পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছি, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট নীতি-নির্ধারকরাও এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায় না। আমরা আবারো দাবি জানাচ্ছি তামাকের ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষায় বাজেটে কার্যকরভাবে করারোপের মাধ্যমে দাম বৃদ্ধি করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে ছয়টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে- তামাকপণ্যের সহজলভ্যতা হ্রাস করতে মূল্যস্ফীতি এবং আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক নিয়মিতভাবে বৃদ্ধি করতে হবে; বিভিন্ন তামাকপণ্য ও ব্র্যান্ডের মধ্যে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য ব্যবধান কমিয়ে আনার মাধ্যমে তামাক ব্যবহারকারীর ব্র্যান্ড ও তামাকপণ্য পরিবর্তনের সুযোগ সীমিত করতে হবে; সকল ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য উৎপাদনকারীকে সরকারের করজালের আওতায় নিয়ে আসতে হবে; পর্যায়ক্রমে সকল তামাকপণ্য অভিন্ন পরিমাণে (শলাকা সংখ্যা এবং ওজন) প্যাকেট/কৌটায় বাজারজাত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে; একটি সহজ এবং কার্যকর তামাক কর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন (৫ বছর মেয়াদি) করতে হবে; সকল প্রকার ই-সিগারেট এবং হিটেড (আইকিউওএস) তামাকপণ্যের উৎপাদন, আমদানি এবং বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করতে হবে। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিআইডিএস’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ, ড. মাহফুজ কবীর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর