× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিশু বয়সেই খ্যাতি পেয়েছিলেন শাহনাজ রহমত উল্লাহ

অনলাইন

বিবিসি বাংলা
(৫ বছর আগে) মার্চ ২৪, ২০১৯, রবিবার, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন

জয় বাংলা বাংলার জয়, আমি তো আমার গল্প বলেছি তুমি কেন কাঁদলে, যে ছিলো দৃষ্টির সীমানায় --এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী শাহনাজ রহমত উল্লাহ খ্যাতি পেতে শুরু করেছিলেন ষাটের দশকে শিশু বয়সেই।

জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নায়ক ও বরেণ্য সুরকার আনোয়ার পারভেজের বোন আর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আলতাফ মাহমুদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ হবার সুবাদে শিশু বয়সেই গানের জগতে জায়গা করে নেন শিল্পী শাহনাজ রহমত উল্লাহ, যার ডাক নাম শাহীন।

যিনি গান শুরু করেছিলেন মায়ের অনুপ্রেরণায়।

তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠ দেশের আরেক বরেণ্য গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলছেন ষাটের দশকেই চলচ্চিত্র, টেলিভিশন এবং গ্রামোফোন রেকর্ডেও সমানভাবে জায়গা করে নিয়েছিলেন কিছুটা ব্যতিক্রমী কণ্ঠের শাহনাজ রহমত উল্লাহ।

১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করা এ শিল্পী দশ বছর বয়স থেকেই গান শুরু করেন। খেলাঘর থেকে শুরু করা এ শিল্পীর কণ্ঠ শুরু থেকেই ছিল বেশ পরিণত। গজল সম্রাট মেহদী হাসানের শিষ্য হয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু শাহনাজ রহমত উল্লাহ খুব অল্প বয়সে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন কি করে ।
এমন প্রশ্নের জবাবে মিস্টার আনোয়ার বলেন সুরের সাথে একটা শাস্ত্রীয় কাজ থাকতো তার। গলার ঢং ছিলো রেওয়াজি। এটিই তাকে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিলো।

তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের মূহুর্তে শাহনাজ রহমত উল্লাহর কণ্ঠেই ধ্বনিত হয়েছিলো জয় বাংলা - বাংলার জয় গানটি।

এ গানটি সহ শাহনাজ রহমত উল্লাহর গাওয়া তিনটি গান ঠাঁই পেয়েছিলো বিবিসির শ্রোতাদের ভোটে মনোনীত সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিশটি বাংলা গানের তালিকাতেও।

আবার গাজী মাজহারুল আনোয়ারেরই লেখা এবং শাহনাজ রহমত উল্লাহর গাওয়া গান প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি তাদের দলীয় সংগীত হিসেবে বেছে নিলে কিছুটা বিতর্কের মধ্যেও পড়ে যান তিনি।

তবে মাজহারুল আনোয়ার বলছেন এটি অর্থহীন বিতর্ক, কারণ তার মতে গীতিকার, সুরকার বা শিল্পীর এ ক্ষেত্রে করণীয় কিছু নেই।

ষাটের দশকে তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনের ঢাকা কেন্দ্রের শুরুর দিকেই প্রযোজক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মোস্তফা কামাল সৈয়দ, তার অনুষ্ঠানেই শাহনাজ রহমত উল্লাহ অনেকগুলো কালজয়ী গান গেয়ে অগণিত মানুষের মন জয় করেছেন।
পুরনোদের পাশাপাশি শাহনাজ রহমত উল্লাহ প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন পরবর্তীকালে উঠে আসা শিল্পীদের কাছেও।

বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় শিল্পীদের একজন কুমার বিশ্বজিৎ বলছেন অপূর্ব কণ্ঠ দিয়ে আর গায়কী ঢং দিয়েই তিনি কয়েকটি প্রজন্মকে একই সূত্রে গেঁথেছেন।

১৯৮২ সালে গানের জগতে আসা কুমার বিশ্বজিৎ বলেন অসাধারণ মানবিক গুণাবলীর জন্যই পরবর্তীকালের শিল্পীদের কাছেও প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।

তবে কুমার বিশ্বজিৎ, মোস্তফা কামাল সৈয়দ ও গাজী মাজহারুল আনোয়ার তিনজনই মনে করেন মেধা, পরিশ্রম, আর কণ্ঠ দিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পেলেও যথাযথ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়ার অভিমানেই শেষ দিকে এসে গানের জগত থেকে নিজেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে নেন শাহনাজ রহমত উল্লাহ।

১৯৯২ সালে একুশে পদক পাওয়া শাহনাজ রহমত উল্লাহর স্বামী, এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছেন।।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর