× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখায় কর্মকর্তার কারসাজি /গ্রাহকদের কোটি টাকা আত্মসাৎ

বাংলারজমিন

ফেনী প্রতিনিধি
২৫ মার্চ ২০১৯, সোমবার

ঢাকা ব্যাংকের পর এবার গ্রাহকদের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখার এক কর্মকর্তা। ফেনী শাখার সাবেক অফিসার (ক্যাশ) হাসান মোহাম্মদ রাশেদ বেশ কয়েকজন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে প্রায় কোটি টাকা লুটে নিয়ে ব্যাংকের বারইয়ার হাট (মীরসরাই, চট্টগ্রাম) শাখায় বদলি হয়েছেন। রোববার দুপুরে বেশ কয়েকজন গ্রাহক ব্যাংকে ক্ষোভ প্রকাশ করে লুট হওয়া টাকা ফেরত চেয়েছে।

ফেনী শাখার ব্যবস্থাপক (অপারেশন) গোলাম কিরবিয়া জানান, তাদের শাখার সাবেক অফিসার (ক্যাশ) হাসান মোহাম্মদ রাশেদ বেশ কিছু গ্রাহকের আমানতের টাকা (এফডিআর/সেভিংস অ্যাকাউন্ট) তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে নিয়েছেন সম্প্রতি এমন কয়েকজন গ্রাহক ব্যাংকে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তারা তদন্ত চালাচ্ছে। সদর উপজেলার কাজির বাগ এলাকার মির্জা আলী ভূঁইয়া বাড়ির প্রবাসী শাহ আলম জানান, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখায় তিনি ও তার স্ত্রীর দুটি অ্যাকাউন্ট আছে। শাহ আলামের নামে তার স্ত্রী ১৭ লাখ টাকা এফডিআর করেন। অপরদিকে স্ত্রী রেজিয়া সুলতানা সেভিং অ্যাকাউন্টে ২৭ লাখ টাকা আমানত রাখে।
তবে সম্প্রতি ব্যাংকের দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা লোপাট হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরে দেশে ফিরে আসেন। এরপর একাধিকবার ব্যাংকে ধরনা দিলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। বরং তাকে বেশ কয়েকবার হয়রানি করেছে। নিরুপায় হয়ে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি জানিয়েছেন। অপর গ্রাহক ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের বৃদ্ধ আবদুস সালাম জানান, সম্প্রতি তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৩ লাখ ৫ হাজার টাকা উত্তেলন হয়েছে মর্মে ম্যাসেজ আসে। বিষয়টি জানতে তার ছেলে ব্যাংকে গেলে ব্যাংক কর্মকর্তা টাকা উত্তোলনের বিষয়ে কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি।

তার মতো আরো একাধিক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাট হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে গ্রাহকের বিক্ষোভের বিষয়টি আঁচ করতে পেয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও এভিপি রেহানা আক্তার ব্যস্ততা দিয়ে দ্রুত অফিস ত্যাগ করেন। গণমাধ্যম কর্মীরা তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।  অপরদিকে অভিযুক্ত হাসান মোহাম্মদ রাশেদ মুঠোফোনে জানান, তিনি কোনো টাকা আত্মসাৎ করেননি। গ্রাহকের টাকা জমাদান ও উত্তোলনে গরমিলের বিষয়টি অফিস তদন্ত করছে। গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যাংক টাকা ফেরত দিবে। তবে গ্রাহকদের কোনো ধরনের টাকা তিনি আত্মসাৎ করেননি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঢাকা ব্যাংক ফেনী শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার গোলাম সাঈদ রাশেব (৩৫) গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা  আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তিনি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ওই ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা  করেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর