× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তবুও আবাহনী-মোহামেডান ‘উত্তেজনা’

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৫ মার্চ ২০১৯, সোমবার

একটা সময় ছিল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ মানেই কানায় কানায় ভরা গ্যালারি। মাঠের উত্তেজনা ছাড়িয়ে তা ছড়িয়ে যেত দুই দলের সমর্থকদের মধ্যেও। দিন বদলেছে, এখন এই দুই দলের লড়াইয়ে দর্শকদের আর টানে না। অনেকটাই হারিয়ে গেছে মাঠের সেই মারমার কাটকাট উত্তেজনাও। তবুও এখনো দুই দল মুখোমুখি হলে থাকে ‘আবাহনী-মোহামেডান’ নামের উত্তেজনার রেশ। আজ ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে মুখোমুখি হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী দুই দল। তাই গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলনে দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে কাজ বাড়তি অনুপ্রেরণা। বিশেষ করে চার ম্যাচ টানা জয়ের ৫ম রাউন্ডে প্রথম হারে আবাহনী।
তাই শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে তাদের আজ জয়ে ফেরার লড়াই। অন্যদিকে টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর মোহামেডান হেরেছে দুই ম্যাচে। তাদের জন্যও আজ ঘুরে দাঁড়ানোর বড় চ্যালেঞ্জ তাও চির প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে। তবে গেল কয়েক বছর ধরে মোহামেডানের যেন পড়তি অবস্থা তাতে ম্যাচ একপেশে হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। কিন্তু দলের প্রধান কোচ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, একজন প্রফেনাল কোচ হিসেবে যদি বলি ২০১৯ মোহামেডানের জন্য বড় একটি বছর হতে যাচ্ছে। যদি শেষ তিন-চারটা ম্যাচ দেখা হয়, মোহামেডান হয়তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি। মোহামেডানের ঐতিহ্যটা একেবারেই পেশাদার। যদি তা ধরে রাখতে পারি, তাহলে এটা গত তিন-চার বছর থেকে ভিন্ন হবে। এটি দলের সদস্য হিসেবে সবার জন্য সুযোগ।’
অন্যদিকে আবাহনীও প্রস্তুত জয়ে ফিরতে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পক্ষে লড়াই বলেই নয় তাদের জন্য শীর্ষ স্থান ধরে রাখাও বড় চ্যালেঞ্জ। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেন, ‘আবাহনী-মোহামেডান’ চেয়ে দলের জয়টাই মুখ্য। তিনি বলেন, আসলে সকালে অনুশীলনে আসার পর মনে হয়েছে কাল মনে হয় আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। সবসময়ই শুনে আসছি খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ একটা ম্যাচ হয়। আমাদের টিম ভালো টিম। মোহামেডানও টিম হিসেবে ভালো। একটা ম্যাচ হয়তো হারছি। তবে আমাদের দল খুব ভালো পজিশনে আছে। আমরা আসলে ওদের দিকে ফোকাস না করে ম্যাচের দিকে ফোকাস করছি।’  
মোহামেডানের তুলনাতে আবাহনী বেশ শক্তিশালী দল গড়েছে কাগজে-কলমে। বিশেষ করে জাতীয় দলের ৮ ক্রিকেটারই খেলবে তাদের হয়ে। দলের অন্যতম ক্রিকেটার ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা গতকাল অবশ্য এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে অনুশীলনে আসেননি। জানা গেছে, মেয়ের অসুস্থতার কারণেই তিনি আসেননি। তবে আজ তিনি মাঠে নামতে পারেন বলেই জানা গেছে। এছাড়াও  সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, সাব্বির রহমান রুম্মান, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন,  মেহেদী হাসান মিরাজরাও আছেন আবাহনীতে। মোহামেডানে জাতীয় দলের এত ক্রিকেটার না থাকলেও তাদের ভরসা ঢাকা লীগের পরীক্ষিত ক্রিকেটাররাই। অধিনায়ক রকিবুল হাসানের নেতৃত্বে তিন জয় এসেছে। এছাড়া আবদুল মজিদ, অভিষক মিত্র, সোহাগ গাজী, আলাউদ্দিন বাবুদের মতো পরীক্ষিতদের ওপরই মোহামেডানের ভরসা রাখতে হচ্ছে। প্রতিপক্ষের এই শক্তি বিবেচনা করে মোহামেডান দলে কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা তা নিয়ে দলের কোচ বলেন, ‘কালকের ম্যাচ আগের ম্যাচর মতো হবে না। টিমের একটা  কৌশল থাকে, কে খেলবে কে খেলবে না এটা নিশ্চিত হয় উইকেট ও কন্ডিশন দেখার পর। প্রতিপক্ষ কাকে খেলাবে সেটা তাদের কৌশল, আর আমরা কাকে খেলাব সেটা আমাদের।’
মোহামেডান তিন ম্যাচে জয় পেয়েছে। এরপরই হেরে যায় টানা দুই ম্যাচ। মূলত তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ আজ। এ নিয়ে দলের কোচ ও জাতীয় দলের সাবেক পেসার মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘পেছনে ফিরে তাকালে দলের জন্য ভালো হবে না। আমাদের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী ছিল। অবশ্য কালকের ম্যাচটা আসলে পুরো টুর্নামেন্টের জন্য মাইলফলক হবে। এটি আমাদের বড়  চ্যালেঞ্জ। আমরা ম্যাচ বাই পরিকল্পনা করছি। পেছনের ম্যাচগুলোর পারফরম্যান্স প্রভাব ফেলবে না।’
অন্যদিকে আবাহনী অধিনায়ক দলের শক্তি নিয়ে বলেন, ‘টুর্নামেন্ট যখন শুরু করি তখন একবারও মনে হয়নি আমরা যেকোনো দলকে সহজেই হারিয়ে দেব। আমাদের সব বিভাগেই ভালো অবস্থায় আছি। যদি একটা ম্যাচ হেরেছি। ওভারঅল আমরা তিন দিক থেকেই ব্যাল্যান্সড।’

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর