আসন্ন উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বেশ কিছূ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রাণালয়। সোমবার সচিবালয়ে আসন্ন পরীক্ষা নিয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা ও তদারক কমিটির সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এই তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী ১ লা এপ্রিল থেকে ৬ই মে পর্যন্ত দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে গতানুগতিক কাগজের খামের বদলে অধিকতর নিরাপত্তাবিশিষ্ট অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল খাম ব্যবহার করা হয়েছে। ভেন্যু কেন্দ্রের জন্য প্রশ্নপত্রের আলাদা প্যাকেট ও ট্রাংক তৈরি করা হয়েছে, যা ট্রেজারি থেকে সরাসরি ভেন্যুতে পাঠানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রী আরো বলেন, আগের মতোই পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রের আসন গ্রহণ করতে হবে। তবে অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর কেন্দ্রে আসতে দেরি হলে রেজিস্ট্রারে তার নাম, ক্রমিক নম্বর ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে এবং সেটি প্রতিদিন কেন্দ্রসচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাবেন। কেন্দ্রে শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কেন্দ্রসচিব) সাধারণ মানের একটি ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিকস যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন না।
দিপু মনি বলেন, গত পরীক্ষার মতো এবারও পরীক্ষা শুরুর মাত্র ২৫ মিনিট আগে কোন সেট প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে, সেটা জানানো হবে। পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র বণ্টনে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সে জন্য নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা কক্ষে আসন বিন্যাস করে প্রশ্নপত্র বিতরণ করতে হবে।
উল্লেখ্য আগামী ১ লা এপ্রিল থেকে শুরু হবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ ই মে। এরপর ১২ ই থেকে ২১ ই মে পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ জন। এর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০ জন।