এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে আগের দুই ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক বাহরাইন ও ফিলিস্তিনের কাছে জনি-মতিনরা হেরেছে এক গোলের ব্যবধানে। দুই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বাংলাদেশ হারলেও মন জয় করে নিয়েছে জেমি ডে’র শিষ্যরা। এই দুই প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই ৯ গোলের ব্যবধানে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। টানা দুই হারে বাছাই পর্ব থেকে ছিটকে এ দু’দল আজ মুখোমুখি হচ্ছে নিয়মরক্ষার এক ম্যাচে। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় শুরু হবে ‘বি’ গ্রুপের এই ম্যাচ।
বাংলাদেশের ফুটবলের প্রেক্ষাপটে চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার স্বপ্নকে বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ দল দেখিয়ে দিয়েছে কেন জেমি ডে সে স্বপ্ন দেখার সাহস দেখিয়েছেন।
বাহরাইন ও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলা দুই ম্যাচেই দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে তো এক পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ নষ্ট করেছেন মতিন মিয়া। আগের দুই ম্যাচের ভুল ত্রুটি শুধরে সান্ত্বনার জয় নিয়ে ফিরতে চান দলের অধিনায়ক মাসুক মিয়া জনি। গতকাল জনি বলেন, আগের দুই ম্যাচে আমরা সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু ফলাফল অনুকূলে আনতে পারেনি। তবে আশা করছি আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলে জয় পাবো। দুই কার্ডের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারছেন না ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা। তবে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরতে পারেন বাহরাইন ম্যাচে দারুণ খেলা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকু। এদিকে আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশ যে ভালো খেলেছে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেটা অন্তত প্রমাণ করতে চান মিডফিল্ডার জাফর ইকবাল। জেমি ডেরও প্রত্যাশা শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে একটা জয় নিয়ে ফিরবে তার দল।
২০১২ সালে শুরু হওয়া এএফসির এই যুব টুর্নামেন্টে কখনো মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। তবে দুই দেশের জাতীয় দলের দেখা হয়েছে ১৫ বার। ১৫ বারের মুখোমুখিতে জয়ের পাল্টাটা ঝুলে আছে বাংলাদেশের দিকেই। ৯ ম্যাচ জিতে ৪ ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। ড্র হয়েছে দুটি ম্যাচ। তবে দুই দেশের সর্বশেষ সাক্ষাতে জয়ের সুখস্মৃতি লঙ্কানদেরই। গত বছর ২৯ আগস্ট নীলফামারীতে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে গোলরক্ষক শহিদুল আলম সেহেলের শিশুসুলভ ভুলে বাংলাদেশ হেরেছিল ১-০ গোলে।