× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কিশোরগঞ্জের সাবেক তিন উপজেলা চেয়ারম্যানপুত্রের চমক

বাংলারজমিন

আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ থেকে
২৬ মার্চ ২০১৯, মঙ্গলবার

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে রোববার কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভরে রাখায় কটিয়াদী উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ১২টি উপজেলার মধ্যে মিঠামইন উপজেলায় একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের ছোট বোন সদর ইউপি’র দু’বারের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আছিয়া আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ১১টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এবং ১২টি উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। ১১টি উপজেলার মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগের ডাকসাইটে প্রার্থীদের পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের তিন বিদ্রোহী ও জাতীয় পার্টির এক প্রার্থী। বিজয়ী এই চার প্রার্থীর মধ্যে তিনজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে। তারা হলেন, তাড়াইল উপজেলায় নির্বাচিত জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলাম ভূইয়া শাহীন, হোসেনপুর উপজেলায় নির্বাচিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোহাম্মদ সোহেল এবং নিকলী উপজেলায় নির্বাচিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আহসান মো. রুহুল কুদ্দুস ভূঞা জনি। তাদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে বিজয়ী হওয়া মো. জহিরুল ইসলাম ভূইয়া শাহীন তাড়াইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রয়াত কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া কাঞ্চন এর ছেলে। আনারস প্রতীকে বিজয়ী হওয়া মোহাম্মদ সোহেল হোসেনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রয়াত আয়ুব আলীর ছেলে।
মোটর সাইকেল প্রতীকে বিজয়ী হওয়া আহসান মো. রুহুল কুদ্দুস ভূঞা জনি নিকলী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইসহাক ভূঞার ছেলে। তাদের মধ্যে তাড়াইল উপজেলায় মো. জহিরুল ইসলাম ভূইয়া শাহীন ২৬ হাজার ৩৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাড়াইল উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আজিজুল হক ভূঞা মোতাহার (নৌকা) পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫৫ ভোট। হোসেনপুর উপজেলায় মোহাম্মদ সোহেল ৩১ হাজার ১৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শাহ জাহান পারভেজ (নৌকা) পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৯২ ভোট। নিকলী উপজেলায় আহসান মো. রুহুল কুদ্দুস ভূঞা জনি ২৮ হাজার ৪৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কারার সাইফুল ইসলাম (নৌকা) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩১৮ ভোট। তাড়াইল, হোসেনপুর ও নিকলী এই তিনটি উপজেলা ছাড়াও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় হেরেছেন নৌকার প্রার্থী। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সদর উপজেলার বর্তমান ভাইসচেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান (কাপ-পিরিচ) ৪০ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাকাউদ্দিন আহাম্মদ রাজন (নৌকা) পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৩৩ ভোট।
জেলার বাকি ৭টি উপজেলার মধ্যে বাজিতপুর উপজেলায় ৬টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে। ৬০ টি কেন্দ্রের ভোটে এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ছারওয়ার আলম (নৌকা) ৩৫ হাজার ৪৪৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. মোবারক হোসেন মাস্টার (আনারস) ২৪ হাজার ৬৯১ ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে। অপর ৬টি উপজেলায় দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে তিনজন বর্তমান চেয়ারম্যান। ইটনা উপজেলায় ৪৫ হাজার ২১৭ ভোট পেয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী অ্যাডভোকেট মো. খলিলুর রহমান (আনারস) পেয়েছেন ১৮ হাজার ২৭০ ভোট। অষ্টগ্রাম উপজেলায় ২৪ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জেমস। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোস্তাক আহমেদ কমল মিয়া (ঘোড়া) পেয়েছেন ২১ হাজার ২৮৩ ভোট। পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪৩ হাজার ৫১২ ভোট পেয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম রেনু। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম শওকত (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৭ হাজার ১৭০ ভোট। এছাড়া করিমগঞ্জ উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব মো. নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ ৪৪ হাজার ১০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রফিকুর রহমান (আনারস) পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৪৪ ভোট। ভৈরব উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. সায়দুল্লাহ মিয়া ৫৮ হাজার ৪১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবুল মনসুর (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ৩০ হাজার ১৭৯ ভোট।
 কুলিয়ারচর উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়া ৪০ হাজার ৬৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুছ ছাত্তার খোকন (আনারস) পেয়েছেন ২ হাজার ৮৩৭ ভোট।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর