বহুদলীয় গণতন্ত্র বিনষ্ট করে দেশে গণতন্ত্রের নামে বর্তমানে কর্তৃত্ববাদী অপশাসন চালু করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর। মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এ অভিযোগ করেন। মির্জা আলমগীর বলেন, কথা ছিল স্বাধীনতা পেলে দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকবে। কিন্তু দেশের মানুষ সেই সুখ, শান্তি পায়নি। বহুদলীয় গণতন্ত্র বিনষ্ট করে গণতন্ত্রের নামে দেশে বর্তমানে কর্তৃত্ববাদী অপশাসন চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিশাল রক্তস্রোত আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে মহিমান্বিত আমাদের স্বাধীনতা। কথা ছিল একটি পতাকা পেলে দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকবে। কিন্তু দেশের মানুষ সেই সুখ, শান্তি পায়নি।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও গণতন্ত্রের পুণরুজ্জীবন ঘটাতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তিকে এ মুহুর্র্তে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা আলমগীর বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। নাৎসিবাদের চরম উত্থানে দেশবাসী ভয় ও আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। কেউ যাতে মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার নিয়ে কথা না বলে, নাগরিক স্বাধীনতার জন্য আওয়াজ না তোলে সেজন্যই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রের মাকে বন্দি করার অর্থই হচ্ছে গণতন্ত্রকে বন্দি করে রাখা। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বিপুল জনসমর্থিত দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও অপহৃত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সাহসী সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। এছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অপর এক বাণীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।