× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত এখনো নিঃশেষ হয়ে যায়নি: নাসিম

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ মার্চ ২০১৯, মঙ্গলবার

১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত এখনও নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিএনপি-জামায়াতকে বাংলার জমিনে কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না, ২৫শে মার্চের এই দিনে এ শপথ নিতে হবে আমাদের। কেননা, এই অপশক্তি ক্ষমতায় আসলে ’৭১-এর ঘাতকরা আবার জেগে উঠবে। তিনি বলেন, ২৫শে মার্চ রাতে নিরীহ বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। যতদিন পর্যন্ত বাঙালি বেঁচে থাকবে, এ গণহত্যার কথা ভুলবে না। শুধু রাজাকার ছাড়া। আগামী জাতিসংঘের অধিবেশনে ২৫শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি জানাতে হবে।
গতকাল বিকাল ৫টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ১৪ দল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ১৪ দলের মুখপাত্র ২৬শে মার্চ উপলক্ষে ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পাকিস্তানি শাসকরা ভীত হয়ে ২৫শে মার্চ কাল রাতে গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দিয়ে। তিনি বলেন, আক্ষেপের সঙ্গে বলতে হয়, পৃথিবীর ইতিহাসে বৃহত্তর গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ৩০ লাখ মানুষ হত্যা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণহত্যা। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে পাকিস্তানি শাসক ও সেনাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে আমাদের। যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে দিয়েছেন। যারা এখনও পাকিস্তানের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করছে, সেই বিএনপি-জামায়াতকেও জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে। সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ’৭১-এর ঘাতকদের বাংলাদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই। চিরতরে রাজনীতি থেকে তাদের খতম করতে হবে। বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি খতম না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে, আজকের গণহত্যার দিবসে এ শপথ নিতে হবে। সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, সত্য ইতিহাস জানলে বঙ্গবন্ধুকে জানা যাবে। ২৫শে মার্চের কথা জানা যাবে। এখনই সঠিক ইতিহাস জানার সময়। তাই অধ্যয়ন করতে হবে। এদেশে জামায়াত-শিবির ও বিহারিরা মিলে মূলত ২৫শে মার্চ গণহত্যা চালিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যাতে কোনো দিন ক্ষমতা ও বিরোধী দলে আসতে না পারে, গণহত্যার এ দিবসে আমাদের এমন শপথ নিতে হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকবো, বিরোধী দলেও থাকবো। জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়ঙ্কর গণহত্যার দিন বাংলাদেশের ২৫শে মার্চ। এই গণহত্যার কথা প্রখ্যাত একজন ইংরেজি লেখকও বইয়ে তুলে ধরেছেন। জাসদের (বাদল) সভাপতি মঈন উদ্দিন খান বাদল বলেন, বাংলাদেশের মাটি পবিত্র, এ মাঠ পবিত্র। পাকিস্তানি সেনারা নাকে খৎ দিয়ে এ মাঠেই আত্মসমর্পণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। জাসদ (ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২৫ মার্চের গণহত্যা মানে না। তারা বাংলাদেশকে অস্বীকার করলো। শেখ হাসিনার সরকার যখন ২৫শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণা করার দাবি জানালো, ঘাতক বিএনপি-জামায়াত নীরব থাকলো। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে ইতিহাসের এ পরম সত্য গণহত্যাকে ধামাচাপা দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। এ গণহত্যা নিয়ে গবেষণা হয়েছে, বহু বধ্যভূমি পাওয়া যায়। শেখ হাসিনার সরকার এ দিবসকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করেছে। এখানে থেমে থাকলেই চলবে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর